নয়াদিল্লি: এমসিডি নির্বাচনে ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে ইস্তফা দিলেন কংগ্রেসের দিল্লির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ পি সি চাকো। পুরভোটের ফলে দলের ভরাডুবি স্পষ্ট হয়ে উঠতেই সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধীকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। বলেন, কেন এমন বিপর্যয়, সেজন্য আত্মানুসন্ধানের প্রয়োজন আছে, হারের কারণ খুঁজে বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যত্ কৌশল তৈরি করতে হবে নতুন করে। অবশ্য চাকো একা নন, দলের এমন অন্ধকার সময়ে সরে যেতে চান অনেকে। পাশাপাশি চলছে দোষারোপের পালা। দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় মাকেন পরাজয়ের নৈতিক দায় স্বীকার করে ইস্তফা দিতে চেয়েছেন।

তাঁকে কাঠগড়ায় তুলে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের অভিযোগ, মাকেন ব্যর্থ, যতটা উচিত ছিল, দল ভোটারদের কাছে যেতে পারেনি ততটা। খামতি আড়াল করতে অবশ্য অনেক ওজরই দেখানো যায়। তবে হাইকমান্ডকে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে, আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন। মাকেন দলের সিনিয়র নেতাদের প্রচারে সামিল করতে পারেননি বলেও অভিযোগ শীলার। বলেন, আমাকে প্রচারে আসতে বলা হয়নি। তবে কী করে নামি!

মাকেন বলেছেন, আর একটু ভাল ফল হবে আশা করেছিলাম। দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে নৈতিক দায় স্বীকার করে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও দিল্লিতে কংগ্রেসের শতকরা ভোটের হার কিছুটা বেড়েছে বলে দাবি তাঁর। মাকেনের কথায়, আমরা ইতিবাচক ইস্যুতে ভোটে লড়েছি। আমরা সন্তুষ্ট, এই ভোটে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন তুলেছি।