নয়াদিল্লি: শো বিজনেসে তাঁর চমকপ্রদ কেরিয়ার ছিল। কিন্তু সব কিছু ছেড়েছুড়ে বিয়ে করে গৃহবধূর জীবনকে স্বেচ্ছায় বেছে নিয়েছিলেন ভদ্রমহিলা। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হচ্ছে তাঁর। নতুন করে পুরনো কেরিয়ারে আগের মত সাফল্য পাওয়া কঠিন মন্তব্য করে দিল্লির একটি আদালত স্বামীকে নির্দেশ দিয়েছে, স্ত্রীর খোরপোষ মাসে ১.৭ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৭ লাখ টাকা করতে হবে।

মহিলা চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন, পড়াশোনা করেছেন আমেরিকা থেকে। ২০০০ সালে বিয়ে করে কেরিয়ার ছেড়ে দেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের জেরে স্বামীকে ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চান তিনি।

আদালত মনে করছে, ১৮ বছর আগে ছেড়ে আসা কেরিয়ারে আবার নতুন করে পুরনো জায়গা ফিরে পাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ারের কোনও নিশ্চয়তা নেই, এখানে কাজ মূলত হয় আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড পদ্ধতিতে। তা ছাড়া বিয়ে ভাঙার পর তাঁর যে মানসিক অবস্থা থাকবে তারপর তাঁর পক্ষে পুরো দমে তখনই কাজ খোঁজাও মুশকিল। আদালত আরও বলেছে, কোনও মহিলার পুরুষের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয় কিন্তু বিয়ে ভেঙে গেলে কর্মরতারাও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন মানসিকভাবে।

আদালত বলেছে, ভদ্রমহিলার স্বামীর যে জীবনযাত্রার মান, তাতে নিম্ন আদালত দ্বারা নির্ধারিত স্ত্রীকে মাসে ১ লাখ টাকার খোরপোষ যথেষ্ট হবে না, কারণ তাঁর স্ত্রীরও সেই জীবনযাত্রায় অধিকার রয়েছে।

স্বামী অভিযোগ করেন, স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আদালত বলেছে, বিষয়টি এখনও বিচারাধীন, অভিযোগ প্রমাণিতও হয়নি।