নয়াদিল্লি: করোনা আবহে বড়দিন আর বর্ষবরণের উৎসব। অতিমারির অভিশাপ ভুলে সেজে উঠছে গোটা দেশ। তবে তারই মধ্যে আতঙ্ক রাজধানী দিল্লিতে। বড়দিন ভোরবেলা কেঁপে উঠল রাজধানী। আতঙ্কে বাসিন্দারা।


২০২০ সাল শেষ হতে চলেছে। তবে খারাপের রেশ হয়তো রয়েই যাচ্ছে। বড়দিনের দিনও বাদ গেল না। সাতসকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশের রাজধানী নয়াদিল্লি। মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয় রাজধানীতে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানাচ্ছে, ভোর ৫ টা ২ নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। দিল্লির নানগলোইয়ে আঘাত হানে ভূমিকম্প। যদিও সেসময় অনেকেই ছুটির সকালে ঘুমিয়ে ছিলেন বলে কম্পন বুঝতে পারেননি। কিন্তু যারা নিজস্ব প্রয়োজনে ঘুম থেকে উঠে পড়েছিলেন, কম্পনের জেরে তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। রিখটার স্কেলে শুক্রবারের ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ২.৩।



উল্লেখ্য, এর আগে ১৭ ডিসেম্বর দিল্লি সহ এনসিআর এলাকায় ভূ-কম্পন ঘটে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.২। তবে এর জেরেও কোনও প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই দিল্লি সহ এনসিআরে কম্পন অনুভূত হচ্ছে। এর আগে ২ ডিসেম্বর দিল্লি-এনসিআরে হালকা মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ২.৭। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল গাজিয়াবাদ। এপ্রিলের পর থেকে দিল্লি-এনসিআর এলাকায় ১৫ বারেরও বেশি কম্পন অনুভূত হয়। বারেবারে এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হয়েছে দিল্লির আশেপাশের অঞ্চলগুলি।

সাম্প্রতিককালে বারবার ভূমিকম্পের কবলে পড়ছে দিল্লি। এই কম্পনগুলি কম মাত্রার হলেও আগামী দিনে বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত কয়েক মাসে একাধিকবার দিল্লিতে ভূমিকম্প হয়েছে ৷ পাঁচটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে দিল্লি চতুর্থ সর্বোচ্চ অঞ্চলের অধীনে পড়ে ৷ এখানে ৭.৯ তীব্রতা পর্যন্ত ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ দিল্লিতে এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে ৫ বার ভূমিকম্প হয়ে গিয়েছে ৷ তবে তাতে কোনও হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি ৷ টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে ভারতীয় উপমহাদেশে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়।