নয়াদিল্লি:  গত ১৭ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়ার পরিস্থিতি রাজধানী দিল্লিতে। শরীরের ওপর দূষণের মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় দিল্লি সরকার বাচ্চাদের বাবা-মায়ের কাছে আর্জি রেখেছেন বাড়ির ভেতরে তাদের বেশি থাকতে।

দীপাবলী হয়ে গিয়েছে চারদিন আগে। কিন্তু চারদিন পরেও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। বাতাসে উপস্থিত ধূলিকনার মধ্যে রয়েছে পিএম ২.৫ এবং পিএম ১০ নামের দুটি পদার্থ। বাতাসের আদ্রতার সঙ্গে এই পদার্থগুলো মিশে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে দিল্লিতে। কঠিন এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমেছে দিল্লি সরকার। কেজরীবাল সরকারের পিডব্লিউডি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন দূষণের কারণের খোঁজে একটি দল গঠন করেছেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানায় ফসল জ্বালানোও এর অন্যতম কারণ।

দিল্লির বেশ কিছু এলাকা যেমন আরকেপুরমে পিএম ২.৫ ও পিএম ১০ এতটাই বেশি পরিমাণে বাতাসে পাওয়া গিয়েছে, যে সেখানকার বাসিন্দাদের জন্যে যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই পদার্থের উপস্থিতি। হু-র নির্দেশিকা অনুযায়ী বাতাসে পিএম ২.৫ নামের পদার্থটি  যদি প্রতি কিউবিক মিটারে ৬০ মাইক্রোগ্রাম করে থাকে, তাহলে ভয়ের কোনও কারণ নেই। কিন্তু আরকেপুরম এলাকায় সকালের দিকে প্রতি কিউবিক মিটারে প্রায় ৯৫৫ মাইক্রোগ্রাম উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে েই পদার্থের।

পরিস্থিতি এখন এতটাই খারাপ যে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী ইমরান হুসেন, কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী অনিল মাধব দাভকে একটি চিঠি লিখে প্রতিবেশী রাজ্য যেখানে ফসল জ্বালানো হয়, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন।

এখন দিল্লিবাসীর সকালে ঘুম ভাঙছে ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া অবস্থায়। খুব কাছের কিছুও ভাল করে দেখা যাচ্ছে না। আসন্ন শীতের আগে যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়, সেবিষয় সজাগ থাকতে বলা হয়েছে দিল্লি সরকারকে। দিল্লিবাসীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, যতটা সম্ভব বাড়ির ভেতর থাকার জন্যে।