নয়াদিল্লি: রাজনৈতিক দলগুলির অ্যাকাউন্টে বিদেশি তহবিলের তথ্য খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রকে আরও ৬ মাস সময় দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
সোমবার, দিল্লি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল এবং বিচারপতি সি হরিশঙ্কর জানায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এই শেষবার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হল। ২০১৪ সালে দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, কংগ্রেস ও বিজেপি—উভয় দলই বিদেশি অনুদান গ্রহণ করার সময়ে ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (এফসিআরএ) লঙ্ঘন করেছে।
এই মর্মে এই দুই প্রধান সহ দেশের সবকটি রাজনৈতিক দলের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। এদিন আদালত জানায়, নির্দেশের কার্যকর হওয়ার বিষয়ে আদালত উদ্বিগ্ন। প্রসঙ্গত, এফসিআরএ-র ৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও রাজনৈতিক দল বা বিধায়ক/সাংসদ বিদেশি তহবিল গ্রহণ করতে পারে না।
এদিনের শুনানিতে কেন্দ্রের কৌঁসুলি মণিকা অরোরা আগামী ৩১ মার্চ মাস পর্যন্ত সময় চান। সরকারের দাবি, প্রচুর রেকর্ড খতিয়ে দেখতে হচ্ছে। কিছু কয়েক দশক পুরনো। ফলে, সেগুলি সংগ্রহ, যাচাই ও বিশ্লষণ করতে আরও সময়ের প্রয়োজন।
এদিকে, মামলাকারী অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম (এডিআর) নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আইনজীবী প্রণব সচদেব জানান, তিন বছর পার হলেও, সরকার এখনও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
আত্মপক্ষ সমর্থনে কেন্দ্র জানায়, ইতিমধ্যেই তারা একাধিক রাজনৈতিক দলকে শোকজ নোটিস, চিঠি ও রিমাইন্ডার দিয়ে সংস্থার থেকে প্রাপ্ত অর্থের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে। কেন্দ্র আরও জানায়, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক একটি বিশেষ টিম গঠন করেছে। রাজনৈতিক দলকে আর্থিক অনুদান দেওয়া সংস্থাগুলির শেয়ার হোল্ডিং প্যাটার্ন খতিয়ে দেখছে ওই টিম।
মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করার জন্য ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছে এডিআর। কিন্তু, তাতেও, কেন্দ্রের কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। সব শুনে কেন্দ্রকে আরও ৬ মাসের সময় দেয় বেঞ্চ।