পাশাপাশি আদালত এও বলেছে, জেএনইউয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের আবেদন খারিজ করে দিলেও তাদের নির্দেশ দু সপ্তাহ কার্যকর হবে না। কর্তৃপক্ষের নির্দেশের বিরুদ্ধে যাতে পড়ুয়ারা চাইলে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন, তাঁদের সেই সুযোগ দিতেই এহেন সিদ্ধান্ত আদালতের।
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মনমোহন এদিন অনশনরত পড়ুয়াদের কাছ থেকে এই মর্মে হলফনামা আদায় করেছেন যে, তাঁরা চলতি অনশন তুলে নিচ্ছেন, এরপর কোনও আন্দোলনের কর্মসূচিতেও জড়াবেন না তাঁরা। বিচারপতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ক্যাম্পাসে কোনও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, ধরনায় বসতে পারবেন না পড়ুয়ারা। তাতে সম্মত হয়েছেন তাঁরা।
বিচারপতি পডু়য়াদের জানিয়ে দেন, তাঁরা আন্দোলন, অনশন তুলে নেবেন, আর কোনও ধরনা, বিক্ষোভ, আন্দোলনে নামবেন না বলে দেওয়া হলফনামা পালনের শর্তেই তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তির নির্দেশ রদ থাকবে। আদালতকে পড়ুয়াদের আইনজীবীরা বলেন, ভবিষ্যতে কিছু ঘটলে কোনও না কোনও প্রতিবাদ, আন্দোলনের রাস্তা খোলা রাখতে হবে। তখন বিচারপতি বলেন, এখন পরিস্থিতি খুবই তপ্ত হয়ে রয়েছে। উত্তাপ কমানোর চেষ্টা করুন। পাশাপাশি অবশ্য শান্তিপূর্ণভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে বক্তব্য জানানোর সুযোগ থাকবে বলে পড়ুয়াদের জানিয়েছে আদালত। কর্তৃপক্ষকেও পরিস্থিতি মাথায় রেখে যথাযথ আচরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, জেএনইউ কর্তৃপক্ষ উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই কানহাইয়া ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ৯ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে হওয়া বিতর্কিত অনুষ্ঠানে ভারত-বিরোধী স্লোগান ওঠার ঘটনার ব্যাপারে সাজা ঘোষণা করেছে। কাউকে বহিষ্কার করা হয়েছে, কারও বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য হয়েছে। শাস্তিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন দিয়েছেন ৮ পড়ুয়া।