নয়াদিল্লি:  ২৮ বছরের করণ, দিল্লিতে তাঁর ট্যাটু বানানো এবং নাক-কান বেঁধানোর প্রফেশনাল স্টুডিও রয়েছে। নিজের ট্যাটু স্টুডিও থাকার জন্যে সারা গায়ে ওই তরুণের অগুনতি ট্যাটুতো আছেই। একটু অভিনবত্ব আনার জন্যে ওই তরুণ ট্যাটু করেছেন তাঁর চোখের মণিতেও। প্রসঙ্গত, করণই হলেন প্রথম ভারতীয় যিনি নিজের চোখের মণিতে ট্যাটু তৈরি করেছেন।


এই ধরনের ট্যাটু তৈরি করতে গেলে একজন ব্যক্তিকে চোখের সাদা অংশে ছুঁচ দিয়ে কালি ঢোকাতে হয়। তার জেরে চোখের সাদা অংশের রঙটা সম্পূর্ণ বদলে যায়। তবে এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব কী হতে পারে, সেবিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেননি পেশাদার এই ট্যাটু আর্টিস্ট। মাত্র তেরো বছর বয়সে নিজের শরীরে প্রথম ট্যাটু করান এই ব্যক্তি। তারপর ১৬ বছর বয়স থেকে নিজের এই নেশাকে পেশায় বদলের ভাবনাচিন্তা করেন করণ। তারপর রাজধানী দিল্লিতে নিজের প্রথম ট্যাটু স্টুডিও চালু করেন।

এইমুহূর্তে করণের দেহে অগুনতি ট্যাটু এবং মোট ২২টি পিয়ার্সিংস রয়েছে। পরবর্তী সময় তাঁর পরিকল্পনা রয়েছে মাথা থেকে পা পর্যন্ত একটিই ট্যাটু রাখার। সেই ট্যাটু কীভাব তৈরি করবেন সেটা ভাবাও হয়ে গিয়েছে করণের। কিন্তু সারা দেহের মধ্যে শুধু চোখের মণি দুটিই বাদ ছিল তাঁর ট্যাটুর জাদু থেকে। এবার সেই অপূর্ণ ইচ্ছেটিও পূরণ করে ফেলেছেন করণ। এখন তাঁকে দিল্লিতে সকলে ট্যাটুগ্রাফার করণ বলে চেনেন।

তবে চোখের মণিতে ট্যাটু বানাতে লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন করণ। অস্ট্রেলিয়ার এক ট্যাটু আর্টিস্ট সেই ট্যাটুটি বানিয়ে দিয়েছেন। সারা বিশ্বের মাত্র একশো জন মানুষের চোখের মণিতে ট্যাটু রয়েছে, ভারতে তিনিই প্রথম। এই ট্যাটুটি করণ স্থায়ীভাবেই বানিয়ে ফেলেছেন। তবে তাঁর কতটা যন্ত্রণা হয়েছে সেটা  প্রশ্ন করায় করণ জানান, পৃথিবীতে কোনও কিছুই তাঁকে আঘাত করতে পারে না। সমস্ত যন্ত্রণাকেই তিনি জয় করেছেন। তবে চোখের মণিতে ট্যাটু করা আসলে চোখের ভেতর গরম ছুঁচ ঢোকানো। সেইজন্যে একটু সাহসতো অবশ্যই প্রয়োজন।

এটা ছিল করণের একটা স্বপ্ন। অপর স্বপ্নটি হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে ট্যাটু করা। সেখানে লেখা থাকবে জয় হিন্দ। করণের দাবি, তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এই ট্যাটুই সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ।