নয়াদিল্লি: তেরোয় মাত্র ৫। দিল্লি পুরনিগম (এমসিডি) ১৩ আসনের উপনির্বাচনে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারল না আম আদমি পার্টি। একইসঙ্গে পুরনিগমে ক্ষমতাসীন বিজেপিও জোরাল ধাক্কা খেল। তারা মাত্র তিন আসনে জয়ী হয়েছে। গতবারের নির্বাচনে এই ১৩ টির মধ্যে ৭ টি আসন গৈরিক দলের দখলে ছিল। একটি আরএলডি ও পাঁচটি নির্দল প্রার্থীদের দখলে ছিল। ২০১২-তে ত্রিধা বিভক্ত হয় এমসিডি। প্রায় এক দশক পুরনিগমের শাসকের ভূমিকায় বিজেপি।
বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে পিছিয়ে থাকলেও এবার ৪টি ওয়ার্ড দখল কংগ্রেসের। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস-ছুট এক নির্দল প্রার্থীও জয়ী হয়েছেন। সব মিলিয়ে পুর ভোটে ফায়দা কংগ্রেসের।
উপনির্বাচনে ক্লিন সুইপ আশার করছিল আপ। এই ভোটকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের জনপ্রিয়তার পরীক্ষা হিসেবেও ধরা হচ্ছিল। কিন্তু পরীক্ষায় টেনেটুনে পাশ নম্বর যোগাড় করতে পারেনি কেজরীবালের দল।
এবারের ফলাফলকে যদিও দলের পক্ষে ঝটকা বলে মনে করছে না আপ। কেজরীবাল এমসিডি-র উপনির্বাচনে দলকে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী করার জন্য জনগনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। টুইটারে কেজরীবাল লিখেছেন, এতদিন এমসিডি কংগ্রেস অথবা বিজেপি শাসিত ছিল। এবার এমসিডিতে অভিষেক হল আপের।শুধু তাই নয়, সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে আপ।
কিন্তু গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লিতে খাতা খুলতে না পারলেও এবার আপের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে কংগ্রেস। রাজধানীতে শতাব্দী প্রাচীন দলের পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে এই ফলাফল।


উপনির্বাচনের ফলাফলকে দলের পক্ষে বড়সড় সাফল্য মনে করছে কংগ্রেস। দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি অজয় মাকেন বলেছেন, দল যে চারটি ওয়ার্ডে জিতেছে সেগুলির কোনওটিতেই তাঁরা এমসিডি-র ২০০৭ এবং ২০১২-র ভোটে জয়ী হতে পারেননি। তাঁর আশা, দলের যে বিদ্রোহী জয়ী হয়েছেন, তিনিও কংগ্রেসেই যোগ দেবেন। তাহলে উপনির্বাচনে আপের মতোই কংগ্রেসের আসন সংখ্যাও হবে ৫।