নয়াদিল্লি: লকডাউনে গৃবহন্দি লোকজন। বন্ধ পরিবহণ। এই পরিস্থিতিতে কেউ বিপদে আপদে পড়লে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে পুলিশ। এই পর্বে উদ্বেগ বেশি অন্তঃসত্ত্বাদের নিয়ে। দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন অন্তঃসত্ত্বাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে। রাজধানী এমন আরও একটি ঘটনা সামনে এল। এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে দিল্লি পুলিশের এক কনস্টেবল ওই মহিলাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আর তিনি তাঁর সদ্যোজাত ছেলের নাম রেখেছেন পুলিশের এই কনস্টেবলের নামে।


ওই কনস্টেবলের নাম দয়াবীর সিংহ। আসলে বিপদের সময় যিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই মহিলার ওই সিদ্ধান্ত।

এ খবর কানে যেতে আপ্লুত কনস্টেবল দয়াবীর। তিনি বলেছেন, বিপদের সময় আমি যে ওই মহিলাকে সাহায্য করতে পেরেছি, এতে আমি খুব খুশি। আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি।

উল্লেখ্য, একটি পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট রাজধানী করোনাভাইরাস হটস্পট এলাকাগুলির অন্তঃসত্ত্বাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে দিল্লি ও কেন্দ্র সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে।

আইসিএমআর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন জেলাগুলির অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের কথা মাথায় রেখে নির্দেশিকা জারি করেছে। আইসিএমআর বলেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ খুব বেশি রয়েছে, এমন এলাকার যে সব অন্তঃসত্ত্বা মহিলা রয়েছেন, যাঁদের প্রসব বেদনা রয়েছে বা আগামী পাঁচদিনের মধ্যে সন্তান প্রসব করবেন, এমন মহিলাদের লক্ষ্মণ না থাকলেও সংক্রমণ পরীক্ষা করতে হবে। আইসিএমআর বলেছে, এই মহিলাদের এমন কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাবে না, যেখানে পরীক্ষার সুবিধা নেই। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের পরীক্ষা আইসিএমআরের পরীক্ষা নিয়মের ভিত্তিতে করতে হবে।