নয়াদিল্লি: ২৬ জানুয়ারি কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন বাতিল চেয়ে আন্দোলনরত কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর বুকে নজিরবিহীন অশান্তি, হিংসার জন্য শুক্রবারই তদন্ত যোগ দিতে বলে ১২ কৃষক আন্দোলনের নেতাকে নোটিস পাঠিয়ৈছে দিল্লি পুলিশ।


এবার রাস্তায় নামলেন প্রজাতন্ত্র দিবসের হিংসায় জখম পুলিশকর্মীদের পরিবারের লোকজন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দিল্লি পুলিশ মহাসঙ্ঘের সদস্যরা। শহিদি পার্কে প্রতিবাদ সভায় এসেছিলেন দিল্লি পুলিশের বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন অফিসাররা।


সেদিনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে হেড কনস্টেবল অশোক কুমার বলেছেন, লাল কেল্লার দরজায় নিযুক্ত ছিলাম। সেদিন যারা তার ভিতরে ঢুকে পতাকা তুলেছিল, তাদের বাইরে বের করে আনছিলাম। তারপরই আচমকা আমাদের ওপর আক্রমণ হয়। ওদের হাতে ছিল লাঠি, তরবারি। আমার মাথায়, পায়ে আঘাত লাগে। পিএস মডেল টাউনে কর্তব্যরত হেড কনস্টেবল সুনিতাও জখম হন।


সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেছেন, মুকারবা চকে ছিলাম। ডিসিপি, এসিপিও সেখানে ছিলেন। তাঁরা আন্দোলনরত প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলে অনুমোদিত রুট মেনে যেতে বলেন। কিন্তু ওরা পাল্টা মেজাজ দেখিয়ে উগ্র মূর্তি ধারণ করে, ব্যারিকেড ভেঙে ছুটে এসে আমাদের আক্রমণ করে, গাড়ি ভাঙচুর করে।


হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করতে নারাজ কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতেই চক্রান্ত করে অশান্তি, হিংসা ছড়ানো হয়েছে। কিন্তু তাদের দিকেই আঙুল তুলেছে দিল্লি পুলিশ, বলেছে, তারাই দায়ী।


গতকাল দিল্লি পুলিশ যে কৃষক নেতাদের নোটিশ ধরিয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন বুটা সিংহ বুরজগিল, দর্শনপাল সিংহ, রাকেশ টিকায়েত, সামসের পান্ধের, সতনাম পান্নু। তাঁদের বলা হয়েছে, সেদিনের অশান্তি, হিংসায় কারা জড়িত, উস্কানি কাদের ছিল, তার তদন্তে যোগ দিতে।


অভিযোগ, প্রজাতন্ত্র দিবসে যে রুটে ট্র্যাক্টর মিছিল নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, আন্দোলনকারী কৃষকরা তা না মেনে ব্যারিকেড ভেঙে মধ্য দিল্লিতে ঢুকে পড়েন। নানা জায়গায় তাদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। একাধিক বিক্ষোভকারী লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা তোলার খুঁটিতে নিজেদের পতাকা লাগিয়ে দেন। একাধিক পুলিশকর্মী জখম হন, ভাঙচুর হয় গাড়ি।