নয়াদিল্লি: সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ যে টুলকিট শেয়ার করেছেন, তা ট্র্যাক করতে গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করল দিল্লি পুলিশ। যে লোকেশন থেকে ওই নথি তৈরি হয় ও টুইটারে আপলোড করা হয়, তার ইন্টারনেট প্রটোকল (IP address) জানতে চেয়েছে তারা।
সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, গুগল ডকে শেয়ার করা এই টুলকিট কারা লিখেছেন তা জানতে চায় দিল্লি পুলিশ। তাই যে জায়গা থেকে ওই টুলকিট আপলোড করা হয়, তার IP address জানতে চায় তারা। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার প্রবীর রঞ্জন জানিয়েছেন, ওই টুলকিটের লেখকদের বিরুদ্ধে তাঁরা মামলা দায়ের করেছেন। তবে এফআইআরে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের পরেই জানা যাবে, কারা ওই টুলকিট তৈরি করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তাই কারও নাম এখনও দেওয়া হয়নি।
প্রবীর রঞ্জন আরও বলেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে দিল্লি সীমানায় কৃষক আন্দোলন চলছে, বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের দিকে নজর রাখছে দিল্লি পুলিশ। এমন তিনশর মত অ্যাকাউন্ট তারা চিহ্নিত করেছে, এগুলি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্য দিচ্ছে, দেশে অনৈক্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে। টুলকিট অ্যাকাউন্টটি চালায় একদল খালিস্তানপন্থী। প্রজাতন্ত্র দিবসের কৃষক তাণ্ডবের পর তারা একটি ডিজিটাল আঘাতের পরিকল্পনা করে। এ ব্যাপারে তাদের পরিকল্পনা সংক্রান্ত নথি হাতে পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। দেখা যাচ্ছে, তাতে যেমন যেমন আছে, ঠিক সেভাবেই ছক মত সব কিছু করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে সাইবার সেলে।
বুধবার পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ওই বিতর্কিত টুলকিটটি টুইট করেন, যদিও পরে ডিলিট করে দেন। কৃষি আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনেও টুইট করেন তিনি।
বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, এই কৃষক আন্দোলনকে দেখতে হবে ভারতীয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নীতির প্রেক্ষিতে। ভারত সরকার যেভাবে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে তাও বিবেচনা করা উচিত। যেভাবে সেলিব্রিটিরা বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনা ছড়ানো হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে মন্তব্য করছেন, তা ঠিক নয়, দায়িত্বপূর্ণও নয়। বিদেশ মন্ত্রক মন্তব্য করেছে।