নয়াদিল্লি: কুয়াশা নয় ধোঁয়াশা!
১৭ বছরের রেকর্ড ভাঙল দিল্লির দূষণ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ধোঁয়াশায় মুখ ঢেকেছে আগরার তাজমহলও! মাত্রাতিরিক্ত দূষণে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট। মাস্ক পড়ে প্র্যাকটিসে ক্রিকেটাররা। রাজধানীতে তিন দিন সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ। কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানোর ভাবনা দিল্লি সরকারের।
দূষণে নাভিশ্বাস দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার। কার্যত দূষণের গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে রাজধানী! বাতাসে এমনই বিষ যে, ৩ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সরকারি-বেসরকারি সব স্কুল। এমনকী শনিবার দিল্লিতে গুজরাত-বাংলা ও ত্রিপুরা-হায়দরাবাদের মধ্যে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। রবিবারও মাস্ক পরে অনুশীলন করতে দেখা যায় ক্রিকেটারদের।
পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন দিল্লি সরকার। পরিস্থিতিতে সামলাতে রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে ৫দিনের জন্য সব নির্মাণ বা ভাঙাভাঙির কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা করেন তিনি। জানা গিয়েছে, বদরপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প ১০ দিনের জন্য বন্ধ। রাস্তায় ১০০ ফুট অন্তর জল এবং ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করবে পূর্ত দফতর।
দূষণ মাপার যন্ত্রই বলে দিচ্ছে, প্রতিমুহূর্তে কীভাবে মারাত্মকহারে বেড়ে চলেছে দিল্লির দূষণ। শুরুটা হয়েছিল দীপাবলির দিন থেকে। তারওপর দীপাবলি এবং ফসল পোড়ানোর ঘটনা দূষণের মাত্রাকে আরও বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে দূষণ-শেষের কোনও লক্ষণ নেই।
এই মুহূর্তে দূষণ-আতঙ্কে কাঁপছে রাজধানী। দিল্লিবাসীকে বাড়ির বাইরে না বরনোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি এতটাই মারাত্মক জায়গায় পৌঁছেছে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে দিল্লি সরকার।
২০০৮-এ বেজিং অলিম্পিকের আগে দূষণ কমাতে প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম মেঘ তৈরি করে বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছিল চিন। এই পরিস্থিতিতে দূষণ-দানবকে বোতলবন্দি করতে দিল্লি সরকার কী সিদ্ধান্ত নেই, এখন সেটাই দেখার।