নয়াদিল্লি:  দীপাবলীর পর থেকে দূষণ থেকে সৃষ্টি হওয়া কুয়াশা-ধোঁয়াশায় দিল্লিবাসীর অবস্থা সঙ্কটজনক। দূষণের আসল কারণ খুঁজতে চলেছে একে অপরকে দোষারোপের পালাও। দিল্লি সরকার আঙুল তুলেছে প্রতিবেশী রাজ্যগুলোয় ফসল জ্বালানোর দিকে। রাজধানীর আকাশে দূষণের মাত্রা বাতাসে এতটাই বেশি যে, সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে দিল্লি সরকারের আবেদন খুব দরকার না পড়লে বাড়ি থেকে না বেরোতে। তবে দিল্লিবাসীর হৃদয়ে আশার আলো জাগিয়ে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। দিল্লিবাসী পরিষ্কার আকাশের মুখ দেখতে পাবে।


তবে তার আগে সোমবারও ভারী কুয়াশায় ঢাকা থাকবে দিল্লির আকাশ, মঙ্গলবার হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে, জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গত ২৪ ঘন্টায় ঘন কুয়াশায় দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় দৃশ্যমান্যতা একেবারেই কমে গিয়েছিল। ৫০০ মিটারের মধ্যেও কিছু দেখা যাচ্ছিল না।

রবিবারও প্রতিবেশী রাজ্যগুলোয় ফসল জ্বালানোকে দূষণবৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে তুলে ধরেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এমনকি নাসার উপগ্রহ চিত্রেও উদ্বেগের ছবি ধরা পড়েছে। নাসার ফায়ার ম্যাপারেও দেখা গিয়েছে দিল্লি এবং তার আশপাশের এলাকায় গত কয়েক সপ্তাহে যেরকম আগুন জ্বলেছে, তারজন্যে বাতাসে দূষণের পরিমাণ এত বৃদ্ধি পেয়েছে।

সফর বা দ্য সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চের তরফে দাবি করা হয়েছে, সোমবার বাতাসে পিএম ২.৫-এর প্রতি কিউবিক মিটারে ৬১৩ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। রবিবার এই পদার্থের বাতাসে উপস্থিতির পরিমাণ ছিল প্রতি কিউবিক মিটারে ৫৮৮ মাইক্রোগ্রাম।

আবহাওয়া অফিসের দাবি, বাতাসের ধীরে চলাচল, নিম্নমুখী তাপমাত্রা ও অতিরিক্ত পরিমাণের আদ্রতা কুয়াশা তৈরির জন্যে একেবারে উপযুক্ত পরিবেশ। এখন দিল্লির পরিবেশও একেবারেই তাই। এইমুহূর্তে রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকায় আগামী দুদিন এই পরিস্থিতিই থাকবে। তারজন্যেই কুয়াশার দাপটও একইরকম থাকবে।

রবিবারও হাওয়া চলাচলের যা গতি ছিল তা সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেক কম।দিল্লিতে এইসময় শুষ্ক ও উত্তুরে হাওয়া থাকে। এবছরই আবহাওয়া একটু অন্যরকম।দীপাবলীর রাত থেকেই হাওয়া চলাচলের গতি অনেক কমছিল। তারপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি এতটা জটিল আকার ধারণ করেছে।