নয়াদিল্লি: দীপ সিধু, যুগরাজ সিংহ ও আরও দু’জনের সন্ধান দিলে ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেবে দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ, প্রজাতন্ত্র দিবসে লাল কেল্লায় এঁরা পতাকা তুলেছিলেন। এছাড়া আরও ৪ জনের নামে ৫০,০০০ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, এঁদের বিরুদ্ধে দিল্লিতে সেদিন হিংসা ছড়ানোয় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

যুগ্ম কমিশনার বিকে সিংহ এবং তিনজন ডিসিপির নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে দিল্লি পুলিশ। এই তিন ডিসিপি হলেন জয় তুর্কি, ভেশাম সিংহ ও মণিকা ভরদ্বাজ। ২৬ জানুয়ারির তাণ্ডবের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জোগাড়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের।

২৬ জানুয়ারি কৃষকদের শান্তিপূর্ণ ট্র্যাক্টর মিছিলের অনুমতি দেয় দিল্লি প্রশাসন। কিন্তু শান্তিতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল অল্প সময়ের মধ্যে হিংসাত্মক চেহারা নেয়। দিল্লি জুড়ে চলে ট্র্যাক্টর তাণ্ডব, পুলিশকর্মীদের প্রচণ্ড মারধর করা হয়, লাল কেল্লার ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা, নিশান সাহিব পতাকা উত্তোলন করে তারা। এই ঘটনার এফআইআরে প্রাথমিকভাবে পঞ্জাবি গায়ক অভিনেতা দীপ সিধু ও প্রাক্তন গ্যাংস্টার এবং এখন নিজেকে সমাজকর্মী হিসেবে পরিচয় দেওয়া লাখা সিধানাকে দায়ী করে দিল্লি পুলিশ। কংগ্রেস নেতা রভনীত সিংহ বিট্টু এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মিছিলে হিংসার জন্য দীপ সিধুই দায়ী। যদিও সিধুর দাবি, তাঁকে মিথ্যে করে ফাঁসানো হচ্ছে, একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে লাল কেল্লা তাণ্ডবের কোনও সম্পর্ক নেই।

গাজিপুর সীমানায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতও দাবি করেছেন, দিল্লি হিংসায় তাঁরা কেউ জড়িত নন, যা করার দিল্লি পুলিশ করেছে।

যিনি সেদিন লাল কেল্লার স্তম্ভ বেয়ে ওপরে উঠে নিশান সাহিব ধর্মীয় পতাকা তুলেছিলেন, তাঁর পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম হল যুগরাজ সিংহ, এখন তিনি বেপাত্তা। পুলিশ তাঁর সম্পর্কে খবর পেতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।