নয়াদিল্লি: দিল্লির এক শেল্টার হোমের আবাসিক মেয়েদের ওপর হোমের কর্মীদের নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। দিল্লি মহিলা কমিশনের সদস্যরা ওই হোমের মেয়েদের হাল খতিয়ে দেখতে  সেখানে অনুসন্ধান চালিয়ে এক ভয়াবহ ছবি তুলে ধরেছেন।  হোমের ৬ থেকে ১৫ বছরের আবাসিক মেয়েদের সঙ্গে কথা বলেছে কমিশন। দ্বারকার ওই হোমের বয়স্ক মেয়েরা জানিয়েছে, সংস্থার মহিলা কর্মীরা শাস্তি হিসাবে তাদের গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ঢেলে দিয়েছে,  তাদের  লঙ্কার গুঁড়ো খেতেও বাধ্য করা হয়েছে। কমিশন রিপোর্টে বলেছে, বাচ্চা আবাসিক মেয়েরা কোনওরকম অবাধ্য আচরণ করলেই মারাত্মক, কঠোর শাস্তি দেওয়া হয় তাদের। ফলে তারা মানসিক ভাবে নির্যাতিত বোধ করে। হোমে পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে  ওই কিশোরীদের বাসনপত্র, জামাকাপড় ধুতে, ঘরদোর, শৌচাগার পরিষ্কার করার পাশপাশি রান্নাঘরের কাজ করতেও বাধ্য করা হয়। ২২জন আবাসিক মেয়ে ও কর্মীদের জন্য মাত্র একজন পাচক, সেখানকার রান্না করা খাবারের মানও ভাল নয় বলে জানিয়েছে কমিশন।


ঘরদোর সাফসুতরো না করায়, কর্মীদের নির্দেশ পালন না করায় তাদের স্কেলের বাড়ি মারা হয় বলেও অভিযোগ করেছে মেয়েরা। গরমে, শীতের ছুটিতে বাড়ি যেতে দেওয়া হয় না বলেও তাদের দাবি।

কমিশনের সদস্যরা সংস্থার প্রধান স্বাতী মালিওয়ালকে সব জানালে তিনি ওই হোমে যান, দ্বারকার ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেন, যিনি সঙ্গে সঙ্গে সিনিয়র অফিসারদের সেখানে পাঠান। আবাসিক মেয়েদের বক্তব্য রেকর্ড করে পুলিশ। দিল্লি পুলিশ হোমের কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। হোমের মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে ২৪ ঘন্টা পুলিশ ও মহিলা কমিশনের কাউন্সেলরদের নিয়োগ করা হয়েছে। শেল্টার হোমের পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালিয়ে যাবে কমিশন।

এর আগে কমিশন দিল্লি সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে আবাসিক হোমগুলির ব্যাপারে। কমিটি রাজধানীর নানা সরকারি, বেসরকারি মহিলা হোমের হাল পরীক্ষা করে সেগুলির উন্নতির ব্যাপারে পদক্ষেপের সুপারিশ করবে।