নয়াদিল্লি: দিল্লির বিদ্রোহী আমআদমি পার্টি (আপ) বিধায়ক কপিল মিশ্রের বিধায়কপদ খারিজ করলেন দিল্লি বিধানসভার স্পিকার রামনিবাস গোয়েল। দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় এই পদক্ষেপ। এ বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে মিশ্রের বিধায়ক পদ খারিজের পদক্ষেপ কার্যকর হবে বলে স্পিকারের আদেশে বলা হয়েছে। ওইদিনই আপের বিরুদ্ধে প্রচারসভায় দিল্লি বিজেপি সভাপতি মনোজ তেওয়ারি, তত্কালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজয় গোয়েলের সঙ্গে এক মঞ্চে উঠেছিলেন কপিল।
আপ বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ দিল্লি বিধানসভা থেকে মিশ্রের বিধায়কপদ বাতিলের দাবিতে পিটিশন দিয়েছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত, যাকে বিবৃতি দিয়ে বেআইনি, অগণতান্ত্রিক বলেন মিশ্র, তাকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করবেন বলেও জানান। মিশ্র এও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির হয়ে প্রচার করতে তিনি একবার নয়, ১০০ বার সদস্যপদ বিসর্জন দিতেও তৈরি। ট্যুইট করেন, একদিকে আছেন একজন দেশপ্রেমিক, আরেকদিকে টুকড়ে টুকড়ে বাহিনী। আমি গোটা দিল্লির পক্ষে থেকেছি। আমি ‘সাতটা লোকসভা আসনই মোদির জন্য চাই’- বলে প্রচার করেছি। এবার ‘বিধানসভা নির্বাচনে ৬০টা আসনই মোদির জন্য চাই’-এই প্রচারেও নামব।



স্পিকারের আদেশে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির পক্ষে মিশ্রর নানা ট্যুইট, সাংবাদিক বৈঠক, প্রচার থেকে কোনও সন্দেহের অবকাশই নেই যে, তিনি স্বেচ্ছায় নিজের আসল দলের সদস্যপদ ছেড়েছেন। তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে আপ ছেড়েছেন বা বিজেপির সদস্য হয়েছেন কিনা, দশম তফসিলের ২ (১) (এ)-র আওতায় তাঁর সদস্যপদ খারিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সেটা কোনও বিষয়ই নয়।
স্পিকারের আদেশ আদালতের বিচারে একদিনের জন্যও টিকবে না বলে দাবি করেন মিশ্র।
স্পিকারের আদেশে বলা হয়েছে, আপ আহ্বায়ক তথা দলের বিধান পরিষদীয় নেতা অরবিন্দ কেজরিবাল ২ জুলাইয়ের এক চিঠিতে জানান, কারোয়াল নগরের বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল হলে কোনও আপত্তি নেই দলের।
প্রসঙ্গত, সৌরভ ভরদ্বাজের পিটিশনের জেরে আরও তিন বিদ্রোহী আপ বিধায়ক অনিল বাজপেয়ি, দেবেন্দর সেহরাওয়াত, সন্দীপ কুমারের মাথার ওপরও বিধায়কপদ খারিজ হওয়ার খাড়া ঝুলছে।