নয়াদিল্লি: উবেরের সান ফ্রান্সিসকো অফিসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি পেয়েছেন দিল্লির কম্পিউটার সায়েন্স ছাত্র সিদ্ধার্থ। প্রতি বছরে তাঁকে বেতন দেওয়া হবে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। মাঝারি পর্যায়ের মার্কিন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা এই বেতনই পান। কিন্তু আমেরিকায় কাজ করা ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের তুলনায় এই মাইনে ৪০ থেকে ৫০ গুণ বেশি।

সিদ্ধার্থ পড়াশোনা করেন দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে। এখনই তাঁকে যে টাকা অফার করা হয়েছে, তা এইচওয়ানবি ভিসাধারী যে কোনও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের গড় মাইনের থেকে বেশি। আমেরিকায় কর্মরত একজন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার প্রতি বছর গড়ে আমেরিকায় বেতন পান ১লক্ষ মার্কিন ডলার।

ওয়াকিবহল মহল জানাচ্ছে, এর আগে আমেরিকায় চাকরি করা ভারতীয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা সিদ্ধার্থের সমান এমনকী তাঁর থেকে বেশি বেতনও পেয়েছেন। ২০১৫-১৬ সালে আইআইটি খড়গপুরের দুই ছাত্রকে বার্ষিক ২ কোটি টাকা মাথাপিছু বেতন দিয়ে নিয়োগ করে গুগল। ২০১৫-তেই দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে এক ছাত্রকে গুগল চাকরি দেয় বার্ষিক বেতন ১.২৭ কোটি টাকায়। ২০১৪-য় বেনারস আইআইটি-র এক পড়ুয়াকে গুগল অফার করে বার্ষিক ২.০৩ কোটি টাকা। আইআইটি বম্বের ছাত্রী, জয়পুরের ২০ বছরের আস্থা আগরওয়ালকে বার্ষিক ২ কোটি টাকার চাকরি দেয় ফেসবুক।

কিন্তু নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের চাকরি মার্কিন নাগরিকদের হাতে তুলে দেওয়ার ঘোষণা করায় বিদেশের কর্মীদের দিয়ে কাজ করানোর এই বাণিজ্যিক মডেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে বিল আসতে চলেছে মার্কিন  কংগ্রেসে।