নয়াদিল্লি: আর্থিক প্রতারণার ঘটনা এখন যে কোনও জায়গায় ও যে কারও সঙ্গে যে ঘটতে পারে—তা আরও একবার প্রমাণিত হল।


প্রায়ই ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহকদের কাছে বিভিন্ন অফার সংক্রান্ত ফোন আসেই। কখনও ব্যাঙ্ককর্মীরা চেষ্টার কোনও কসুর করেন না গ্রাহকদের কাছে এটা প্রমাণ করতে যে, তাঁরা স্কিম থেকে কীভাবে উপকৃত হতে পারেন।


তবে, বহুক্ষেত্রে ওই কলগুলি প্রতারণা-চক্রেরও হতে পারে। যার পাল্লায় পড়তে পারেন গ্রাহকরা। ঠিক যেমনটা হয়েছে দিল্লি নিবাসী মহিলার ক্ষেত্রে। ঋণ নেওয়ার জন্য ক্যানসেলড চেক দিয়ে দেখেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে ৩.৮ লক্ষ টাকা।


জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ঋণ নিতে প্রথমে রাজি হননি। কিন্তু, কোনওমতে তাঁকে রাজি করায় এক প্রতারক। ওই ব্যক্তি নিজেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে মহিলাকে ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা করতে বলে।


সেইমতো, মহিলা আধার কার্ড ও ক্যানসেলড চেক ওই ব্যক্তিকে দেন। তবে, মহিলা নিজের হাতে চেক ক্যানসেল করেননি। ওই ব্যক্তিকে করতে দেন। কায়দা করে ওই প্রতারক চেক ক্যানসেল না করে প্রাপকের জায়গায় একটি লাইন টেনে দেয়। মহিলাকে সে জানায় যে, চেকটি ক্যানসেল হয়ে গিয়েছে।


অভিযোগ, আধ-ঘণ্টার মধ্যেই মহিলার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। জানানো হয়, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩.৮ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। মহিলা সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে ছোটেন। কিন্তু, ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। চেকে মহিলার স্বাক্ষর থাকায় ব্যাঙ্ক টাকা দিয়ে দেয়।


তা সত্ত্বেও, হাল না ছেড়ে পুলিশে অভিযোগ করেন ওই মহিলা। পুলিশ তদন্তে নেমে ৪০ বছরের অভিযুক্ত দীপক অরোরাকে গ্রেফতার করে। সে জানায়, স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ জোগাতে সেই এই কাজ করেছে। তার দাবি, অর্ধেক টাকা স্ত্রীকে দিয়ে সে চলে যায় উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরে। সেখানে বাকি টাকা আইপিএল বেটিংয়ে হেরে গিয়েছে। অভিযুক্তের কাছ থেকে মাত্র ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।