নয়াদিল্লি: নোটকাণ্ডে মোদী সরকারকে চাপে ফেলতে একজোট বিরোধীরা। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার ফের দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


নোটকাণ্ডে সংসদের বাইরে ও ভিতরে মোদী সরকারকে চাপে ফেলতে রণকৌশল তৈরি করল বিরোধীরা। তারই অঙ্গ হিসেবে এদিন কংগ্রেসের ডাকে ১০ বিরোধী দল বৈঠকে বসে।


সেখানে কংগ্রেস ছাড়াও উপস্থিত ছিল তৃণমূল কংগ্রেস, জেডিইউ, বিএসপি, সিপিআইএম, সিপিআই, এনসিপি, আরজেডি, জেএমএম এবং ডিএমকে-র প্রতিনিধিরা।


কংগ্রেসের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী, দলের লোকসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, গুলাম নবি আজাদ, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও' ব্রায়েন, সিপিএমের মহম্মদ সেলিম, সিপিআইয়ের ডি রাজা, জেডিইউ নেতা শরদ যাদব, বিএসপি-র সতীশ মিশ্র, আরজেডি-র প্রেমচাঁদ গুপ্ত।


সেখানে ঐকমতের ভিত্তিতে স্থির হয়, নোটকাণ্ডে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাবের দাবি তুলে যাবে বিরোধীরা। একইসঙ্গে, বিরোধীদের দাবি, বিতর্ক করতে হবে, সেই ধারা অনুযায়ী, যাতে ভোটাভুটি করা সম্ভব।


নোটকাণ্ডে গত ২ দিন ধরে লোকসভার স্বাভাবিক কাজকর্ম কার্যত ভণ্ডুল হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যসভায় গত ১৬ তারিখ দিনভর বিতর্ক অমীমাংসিতভাবে শেষ হওয়ার পর থেকে বিরোধীরা প্রধাননমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতির দাবি তুলে আসছে।


বিরোধীদের হুঁশিয়ারি, প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত না হলে, তারা আলোচনা হতে দেবে না। যদিও, সরকারও পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে, এই দাবি মানা সম্ভব নয়। শাসকের জবাব, কক্ষের নেতা অরুণ জেটলি রয়েছেন। তিনি সরকার-পক্ষের জবাব দেবেন।


এদিকে, বিরোধী বৈঠকে স্থির হয়েছে, বুধবার ২৩ নভেম্বর সংসদ ভবন চত্বরে গাঁধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ-অবস্থানে অংশ নেবে তারা। পাশাপাশি, রাষ্ট্রপতি ভবনেও ফের যাবেন। তবে, সেই যাত্রার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।


এদিকে, আগামীকাল ফের রাজধানী যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন কলকাতায় তিনি বলেন, কাল দিল্লি যাচ্ছি। দলের নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন এদিন জানান, এটা ভাল বিষয় যে, সাধারণ মানুষের কষ্টকে লাঘব করতে একজোট হয়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা।


তিনি জানান, বুধবারের ধরনায় অন্তত ২০০ জন অংশ নেবেন। এ দিনও গাঁধী মূর্তির সামনে তৃণমূলের ধরনায় ছিল অভিনবত্ব। সাংসদদের হাতে ছিল কালো ডায়েরি। গলায় কালো প্ল্যাকার্ড।


মানুষের ভোগান্তিকে হাতিয়ার করে পথে নামেন রাহুল গাঁধীও। সোমবার সকাল সকাল তিনি বেরিয়ে পড়েন দিল্লির রাস্তায়। এটিএমে দাঁড়ানো মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। দুর্ভোগের খোঁজখবর নেন। রাহুল যখন সবার খোঁজ নিচ্ছিলেন, তখন ভিড়ের মধ্যে এক মহিলা তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে খোঁজ নেন! হেসে জবাব দেন রাহুল।


তার আগে এদিন ফের মোদী সরকারকে নিশানা করেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। কংগ্রেস সহ সভাপতি বলেন, মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে। পিছনের দরজা দিয়ে টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। বড়লোকেরা টাকা পাচ্ছে। গরিবারা ফিরে যাচ্ছে।