নয়াদিল্লি: বেআইনিভাবে পুরানো নোট বদলানোর চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র জালে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের দুই ম্যানেজার। একইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩ কেজি সোনার বার। গত ৩০ নভেম্বর আর্থিক তছরুপ মোকাবিলা আইন (পিএমএলএ)-র আওতায় একটি মামলা রুজু করে ইডি। এই মামলার তদন্তে নেমে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের দুই ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে ইডি।তদন্তে নেমে ইডি-র গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রচুর টাকা আরটিজিএস-এর মাধ্যমে কয়েকটি ভুঁইফোড় কোম্পানির কাছে পাঠানো হয়েছে।আর ওই কোম্পানিগুলির ডিরেক্টর হিসেবে যাঁদের দেখানো হয়েছে তাঁরা পেশায় মজুর মাত্র।

যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা হলেন শোবিত সিনহা এবং বিনীত গুপ্তা। তাঁরা অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের কাশ্মীরী গেট শাখার ম্যানেজার। পিএমএলএ-র আওতায় গতকাল তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নোট বাতিলের পর বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে এই প্রথম ব্যাঙ্কের কোনও পদস্থ আধিকারিককে গ্রেফতার করা হল।

অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, তারা তাদের ওই দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে,  কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের সর্বোচ্চ মান অনুসরণ করার ব্যাপারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে কোনও কর্মীর আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।

লখনউতে সিনহার বাড়ি থেকে ঘুষ হিসেবে দেওয়া একটি সোনার বার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি জানিয়েছে। এছাড়াও এই চক্রে যুক্ত এক গহনা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ কেজি ওজনের সোনার বার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

গতমাসে পুরানো নোটে ৩.৭ কোটি টাকা সহ অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শাখার সামনে থেকে তিন ব্যক্তিকে ধরার পর চক্রের বিষয়টি জানা যায়। ইডি ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে।