নয়াদিল্লি: নিতান্ত উপায় না থাকায়, বৈধ কারণে যাঁরা বাতিল ৫০০, ১০০০ টাকার নোট ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে জমা দিতে পারেননি, তাঁদের আর একটা সুযোগ দেওয়া যায় কিনা, সে ব্যাপারে কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ভেবে দেখার জন্য দু সপ্তাহ সময় দিল সুপ্র্রিম কোর্ট।

জনৈক সুধা মিশ্রের পেশ করা আবেদন সহ একগুচ্ছ পিটিশনের শুনানিতে বেঞ্চ এই অভিমত জানায়। সুধা দেবীর আবেদন, কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তিনি বাতিল নোট জমা দিতে না পারায় তাঁকে একটা সুযোগ দেওয়া হোক।

প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ বলেছে, এমন তো হতেই পারে যে, কেউ নিজের টাকা হারিয়ে ফেলেছেন। ধরা যাক, নোট বদল যখন চলছিল, তখন কেউ জেলে ছিলেন। এঁরা কেন বাদ পড়লেন, সেটাই আমরা জানতে চাইছি। কেন্দ্রের প্রতিনিধি হয়ে আসা সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিত কুমারকে সরকারি নির্দেশ জানতে বলেছে বেঞ্চ। সত্ নাগরিকের দুর্ভোগে পড়া উচিত নয় বলে অভিমত জানান বিচারপতিরা।

প্রতিটি কেস খতিয়ে দেখে সেই অনুসারে বাতিল টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের নির্দেশ চাইতে সময় দেওয়ার আবেদন করেন সলিসিটর জেনারেল।

গত বছরের ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় আচমকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাতারাতি ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তা ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে বদলে নেওয়া যাবে বলে ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আশ্বাস দেন, ওই সময়সীমার মধ্যে বদলে না ফেললেও ২০১৭-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কে বাতিল নোট জমা দেওয়ার সুযোগ মিলবে। তবে এজন্য কিছু নিয়ম মানতে হবে।

কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত বদলে সরকার জানিয়ে দেয়, ৩০ ডিসেম্বরই অবৈধ নোট বদলের শেষদিন, তারপর সুযোগ পাবেন শুধু তাঁরা, যাঁরা বিদেশে রয়েছেন এবং নোটবদলের সময়কালের মধ্যে দুর্গম, প্রত্যন্ত এলাকায় ডিউটিতে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ৩০ ডিসেম্বরের পর বাতিল নোট জমা দিতে না দেওয়ার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে পিটিশনে।