লখনউ: হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স পাঠায়নি। উপায় না দেখে অসুস্থ সোনির স্বামী তাঁকে ঠেলাগাড়িতে তুলে নেন। বাড়ি থেকে ৮ কিলোমিটারের মত দূরে হাসপাতালে যাওয়ার সময় পথে মৃত্যু হয় তাঁর।

উত্তর প্রদেশের মৈনপুরীতে ঘটনাটি ঘটেছে। সোনি নামে ওই মৃত মহিলার বয়স ৩৫, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। স্বামী কানহাইয়া লাল বলেছেন, গ্রাম থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে তেজ সিংহ জেলা হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স চেয়ে ফোন করেন তিনি। কিন্তু তা না আসায় উপায়ান্তর না দেখে স্ত্রীকে তুলে নেন নিজের ঠেলাতেই।

এতটা ধকল সইতে পারেননি সোনি। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

মৃত্যুর পরেও ন্যূনতম সম্মান পায়নি সোনির মৃতদেহ। তাঁর স্বামী দেহ বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে দেহ ফেরি করার একটি গাড়ি চান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে ঠেলায় করেই দেহ ফিরিয়ে আনেন তিনি। কানহাইয়ার বক্তব্য, ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা গেলে তাঁর স্ত্রী বেঁচে থাকতেন।

রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখ্য সচিব প্রশান্ত ত্রিবেদী বলেছেন, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার জন্য হেল্পলাইন নম্বর ১০৮-এ ফোন করেননি কানহাইয়া, সম্ভবত তিনি ওই হাসপাতাল বা অন্য কোথাও ফোন করে থাকবেন। ওই পরিবার হতদরিদ্র, এমনকী ফোনও নেই। গোটা ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তবে কানহাইয়াকে দেহ ফেরি করার জন্য ভ্যান দেওয়া হয়নি তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, হাসপাতাল কর্মীদের উচিত ছিল, তাঁকে জানানো, ভ্যান পেতে গেলে কী করতে হবে।

হাসপাতালের অবশ্য দাবি, কানহাইয়া ভ্যান চানইনি। ঘটনার তদন্ত করছে তারা।