নয়াদিল্লি: ২০১৮ সালের প্রথম দিন সকালেই দিল্লি, উত্তর প্রদেশ সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে দেখা গেল ঘন কুয়াশা। সঙ্গে প্রবল ঠান্ডা। আজই উত্তর ভারতে এই মরসুমের সবচেয়ে ঘন কুয়াশা দেখা গেল। ট্রেন চলাচল ও উড়ানের উপর এই কুয়াশার প্রভাব পড়েছে। দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতার ৫০ মিটারেরও কম হয়ে যাওয়ার ফলে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে আসা বা দিল্লি থেকে উড়ে যাওয়া ৩৫০টিরও বেশি বিমান হয় দেরিতে চলছে, না হয় যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। কম দৃশ্যমানতার কারণে ১৫টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ২০টি ট্রেনের সময় বদল করা হয়েছে এবং ৫৬টি ট্রেন দেরিতে চলছে।

আজ সকালে দিল্লির তাপমাত্রা কমে হয় সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দিল্লির সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঠান্ডা ও কুয়াশার পাশাপাশি দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রাও আজ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।

উত্তর প্রদেশের বারাণসী, ইলাহাবাদ, কানপুর, ঝাঁসি, আগ্রার মতো শহরগুলিতেও ঘন কুয়াশার ফলে উড়ান ও ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বিহারের পটনা, মুজফফরপুর, সমস্তিপুর, শেওহর ও দ্বারভাঙা জেলাতেও প্রবল ঠান্ডা ও কুয়াশা দেখা গিয়েছে। অন্তত ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরেও পারদ নেমে গিয়েছে। লেহতে গত রাতে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীনগরের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী কয়েকদিন দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং হরিয়ানা, পঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে ঘন কুয়াশা দেখা যেতে পারে।