নয়াদিল্লি: অর্থমন্ত্রকের সর্বশেষ নথি অনুযায়ী দেশের ৩৬.০৬ কোটি জন ধন অ্যাকাউন্টে মোট জমা পড়েছে ১ লাখ কোটি টাকা। সম্প্রতি এই তথ্য রাজ্যসভায় জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।


ক্ষমতায় আসার পরই প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার সূচনা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালের ২৮ অগাস্ট এই প্রকল্পের সূচনা হয়। এরপর বিগত পাঁচ বছরে দেশে ৩৬ কোটির ওপর জিরো ব্যালেন্সে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং সেখানে জমা হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকার ওপরে। সম্প্রতি রাজ্যসভায় অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট খোলার হার কিছুটা কমেছে। তবে প্রায় সাড়ে ২৮ কোটি অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করছে বলেও জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জন ধন যোজনার আওতায় ২০১৮ মার্চের মধ্যে দেশে ৫.১০ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ২০১৯ সালে খোলা হয় ৫.০৭ কোটি অ্যাকাউন্ট।


প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রক আরও জানিয়েছে দূর্ঘটনার  ক্ষেত্রেও সরকার  বিমার পরিমাণ ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত করেছে। ২০১৮ সালের ২৮ অগাস্টের পর থেকে যারা জন ধন যোজনায় অ্যাকাউন্ট খুলেছে তারা এই পরিষেবা পাবে। ১০ হাজার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে ওভারড্রাফ্টের সীমাও। সরকার দেশের প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্কদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে তৎপর হয়েছে। ১৮ উর্ধ্ব অথচ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, তাদের জন ধন যোজনার আওতায় আনতে চাইছে সরকার। উল্লেখ্য, দেশের ৩৬ কোটি জন ধন যোজনার আওতাভুক্ত ৫০ শতাংশ অ্যাকাউন্টই মহিলাদের। অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার মূল লক্ষ্যই হল আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা জনজাতিকে সমস্ত ধরনের পরিষেবা প্রদান করা। বিশেষ করে ব্যাঙ্কিং, ক্রেডিট কার্ড, বিমা ও পেনশন সংক্রান্ত পরিষেবা প্রদান করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।