বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় ভারতের 'বিদেশনীতি ও কৌশলগত শরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক' শীর্ষক আলোচনায় বিদেশমন্ত্রী বলেন, আলোচনা অবশ্যই একতরফা হয় না। সন্ত্রাস আর আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। ওরা সন্ত্রাসে মদতদান বন্ধ করলেই আলোচনা শুরু করব আমরা।
পাকিস্তানের মোকাবিলায় মোদী সরকারের কোনও নীতিই নেই, বিরোধীদের এই অভিযোগ খারিজ করেন বিদেশমন্ত্রী।
বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা প্রশ্ন করছেন, আমাদের পাকিস্তান রোডম্যাপ কী? শপথ নেওয়ার আগেই সেটা জানিয়ে দিয়েছি আমরা। সব প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমরা ডেকেছিলাম, সবাই এসেওছিলেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হয়েছিল, যেখানে আমি ছিলাম।
২০১৪ সালে মোদী সরকারের শপথ গ্রহণের সময় তত্কালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও প্রতিবেশী দেশগুলির প্রধানমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। বলেন, সেই থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে ওঠাপড়া দেখা যাচ্ছে।
সুষমা জানান, তিনি ২০১৫-র ডিসেম্বরে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন হার্ট অব এশিয়া সম্মেলনে যোগ দিতে। সেখানে শরিফ বলেছিলেন, নতুন আঙ্গিকে আলোচনা শুরু হওয়া উচিত, তাকে সার্বিক দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নামও দেওয়া হয়। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক এমন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, শরিফের জন্মদিনে মোদী শুভেচ্ছা জানালে তাঁকে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানান পাক প্রধানমন্ত্রী। সাড়া দিয়ে প্রটোকল দূরে সরিয়ে রেখে মোদী লাহোর সফরে যান। এমনকী ২০১৬-র ১ জানুয়ারি পঠানকোটে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর পাকিস্তানও অস্বীকার করার চিরাচরিত রীতির ব্যতিক্রম ঘটিয়ে তদন্তে দল গঠন করে। কিন্তু সংঘর্ষে হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানি খতম হওয়ার পর পাকিস্তান তাকে শহিদ ঘোষণা করলে ছবিটা বদলে যায়।
মোদী সরকারের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে সুষমা পাল্টা বলেন, বিরোধী দলটি এখন যেসব ব্যাপারে উদ্বেগ জানাচ্ছে, সেগুলির সৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু সাবেক ইউপিএ আমলেই। তাঁর কটাক্ষ, এখন তোলা উদ্বেগ, আশঙ্কার জন্ম দিয়েছেন আপনারাই!
তবে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু আন্তর্জাতিক স্তরে দারুণ কাজ করেছিলেন বলে জানিয়ে তাঁর প্রশংসা করলেও সুষমা বলেন, নেহরুর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছিল, আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুনিয়ার সামনে দেশের ইমেজ ভাল করছেন।