নয়াদিল্লি: টাউট ও দালালচক্রের অবসান ঘটাতেই তিনি ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগ শুরু করেছিলেন। এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, এর ফলে কালো টাকার বাড়বাড়ন্ত ও কালোবাজারি যেমন রোখা সম্ভব হবে, তেমনই ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।


তাঁর সাধের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার লাভবানদের সঙ্গে কথোপকথন শুরু করতে গিয়ে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের দেশীয় সংস্করণ রূপে-র ব্যবহার নিয়ে জোর তদ্বির করেন মোদী। জানান, অন্যান্য কার্ডে লেনদেন করলে, প্রোসেসিং চার্জ বা ফি বিদেশি সংস্থায় চলে যায়। কিন্তু, সেখানে রূপে ব্যবহার করলে প্রদেয় অর্থ ভারতেই থেকে যাবে যা বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে।


প্রধানমন্ত্রী জানান, যখন তিনি প্রথম ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলেছিলেন, তখন সকলে তাঁর মজা উড়িয়েছিল। সেই সময় দেশে বহু মানুষ বালিশের মধ্যে টাকা লুকিয়ে রাখতেন। দালাল ছাড়া রেশন পাওয়া দুষ্কর ছিল। কিন্তু, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মাধ্যমের লাভবানরা জানিয়েছেন, এখন টাকা সরাসরি তাঁদের কাছে পৌঁছচ্ছে। এই অভিজ্ঞতাই সমালোচকদের সব মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।


মোদী যোগ করেন, এখন বিরোধীরা অভিযোগ করছে যে, ডিজিটাল পেমেন্ট সুরক্ষিত নয়। এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে কারণ, তাঁর উদ্যোগে দালালরা সমস্যায় পড়েছে। মোদী বলেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া হল দালালচক্রের বিরুদ্ধে লড়াই। এর ফলে, কালো টাকা ও কালোবাজারি রুখে গিয়েছে এবং দালালদের উৎখাত করেছে।


মোদীর দাবি, রেল টিকিট বুকিং হোক বা বিল পেমেন্ট ও পেনসন সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা—ডিজিটাল মাধ্যমের ফলে মানুষের ক্ষমতায়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ দেখতে পান বা না পান, দেশ বদলাচ্ছে। তিনি যোগ বলেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া হল শিক্ষা, কর্মসংস্থান, উদ্যোগ এবং ক্ষমতায়ণের অপর নাম। এর ফলে সংস্কার, বদল ও পারফর্ম করা সম্ভব।


এদিন, রূপে-র ব্যবহারকে জাতীয়তাবাদের সঙ্গে তুলনা করেন মোদী। বলেন, সকলের পক্ষে সম্ভব নয় সীমান্তে গিয়ে লড়াই করা। রূপে- ব্যবহার করাও একধরনের জাতীয় সেবা। তিনি যোগ করেন, চালু হওয়ার চার বছরের মধ্যে সারা দেশে প্রায় ৫০ লক্ষ রূপে কার্ড জারি করা হয়েছে।