সংসদীয় সমিতির বৈঠকে বিদেশ সচিবের বক্তব্য নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে সাফাইও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বিদেশ সচিব এটাও বলেছিলেন যে, এবার শুধু সরকার অভিযানই চালায়নি, সেইসঙ্গে তা জনসমক্ষে ঘোষণাও করা হয়েছে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা মহাসচিব দিগ্বিজয় সিংহ এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রিকরকে একহাত নিয়েছেন। ট্যুইটারের মাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘বিদেশ সচিব জয়শঙ্কর বলেছেন যে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ইউপিএ সরকারের আমলেও হয়েছে। মিস্টার পর্রিকর, তাঁদেরকেও কি আরএসএস প্রশিক্ষণ দিয়েছিল’।
কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভিও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ঘিরে মোদী সরকারের দাবিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন।
উল্লেখ্য, সংসদীয় সমিতির বৈঠকে বিদেশ সচিব জানান, অতীতেও সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অভিযান চালিয়েছে। তবে তা শুধু সামরিক বাহিনীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত। কারণ, এই অভিযান সম্পর্কে কোনও ‘বার্তা’ জানানো হত না।
সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, এবারের সার্জিক্যাল স্টাইকের পর তা জনসমক্ষে জানানো হয়েছে। এতে করে একটা রাজনৈতিক-সামরিক বার্তা দেওয়া গিয়েছে। এটাই সংসদীয় সমিতিকে জানিয়েছেন বিদেশ সচিব।
সংসদীয় সমিতির বৈঠকে জয়শঙ্কর নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অতীতেও ‘টার্গেট স্পেসিফিক’, ‘লিমিটেড ক্যালিবার’, ‘কাউন্টার-টেররিস্ট’ অভিযান চালানোর কথা স্বীকার করেন বলে কয়েকজন বিরোধী সদস্য জানিয়েছেন। এরপরই বিদেশ সচিবের বক্তব্য নিয়ে সরকারি সূত্রে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বিদেশ সচিবের এই বক্তব্য প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারণ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের দাবি ছিল, স্বাধীনতার পর থেকে এ ভাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায়নি ভারত।
বিদেশ মন্ত্রকের ওই স্থায়ী সংসদীয় কমিটির সদস্য কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীও। সূত্রের খবর, বৈঠকে তিনি কোনও প্রশ্ন করেননি। তবে স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসের শশী তারুর, কর্ণ সিংহ, সিপিএমের মহম্মদ সেলিম বা বিজেপির সত্যব্রত চর্তুবেদীরা বৈঠকে উপস্থিত বিদেশসচিব ও ভাইস চিফ অব আর্মি স্টাফ বিপিন রাওয়াতের কাছে বিস্তারিত ভাবে সেনা অভিযানের বিষয়টি জানতে চেয়েছিলেন।