নয়াদিল্লি: ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার চার্টার বিমানে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক বিদেশ সফরের পিছনে কত খরচ হয়েছে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি বিদেশমন্ত্রককে প্রকাশ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। ওই নথি চেয়ে আবেদন করেছিলেন কমোডর (অবসরপ্রাপ্ত) লোকেশ বাত্রা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উড়ান সংক্রান্ত বিল, ইনভয়েস ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন।
এই সময়কালে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন প্রথমে মনমোহন সিংহ, ২০১৪-য় প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী।
বিদেশমন্ত্রক বলেছিল, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের বিমানভাড়ার ব্যাপারে বায়ুসেনা ও এয়ার ইন্ডিয়ার দেওয়া বিলের পরিমাণ, রেফারেন্স নম্বর, তারিখ সবই নানা জায়গায় বিভিন্ন ফাইলপত্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, আবেদনকারীর দাবিমতো সেসব একত্রে জড়ো করতে গেলে প্রচুর নথি, ফাইলপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে, এটা অনেক লোকের কাজ। কিন্তু মন্ত্রকের বক্তব্য মানতে নারাজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আর কে মাথুর। শুনানির সময় বাত্রা জানান, তাঁকে এ ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রক অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তারপরই তিনি কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রসঙ্গত, তথ্য কমিশন আইন সংক্রান্ত ব্যাপারে এই কমিশনই সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ।
ওই বিল মেটানোর বিষয়টি কী অবস্থায় আছে, সরকারের কোন স্তরে আটকে রয়েছে, তা দেশবাসীর সামনে আনতে চান বলে জানিয়েছেন বাত্রা। তিনি বলেন, এয়ার ইন্ডিয়া অর্থাভাবে ধুঁকছে। ফলে এই বিলের টাকা মেটাতে দেরি হলে তার সুদ বেড়ে যাবে, শেষ পর্যন্ত তা পরিশোধ করতে হবে জনসাধারণের করের টাকায়।
বাত্রার দাবি, জাতীয় সুরক্ষার কারণ দেখিয়ে এইসব নথি প্রকাশ বন্ধ রাখা যায় না। কেননা এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবার পরিবর্তে গ্রাহকদের অর্থ মেটানোর দায় থাকে এক্ষেত্রে।
সব পক্ষের বক্তব্য শুনে কমিশনার মাথুর বলেন, বকেয়া মিটিয়ে দিতে গেলেও সব বিল, ইনভয়েস খুঁজে বের করে এক জায়গায় আনতে হবে। সে কাজ করতে অনেক লোকলস্কর লাগালে তাদের বাকি কাজ মার খাবে, মন্ত্রকের এই বক্তব্য খারিজ করেন তিনি। বলেন, যাবতীয় বিল এতদিনে মিটিয়ে দেওয়া হলেও সেগুলি একত্রিত করেই তো করতে হোত। সুতরাং বিদেশমন্ত্রককে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের ভাড়া বাবদ এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাপ্য বিল সংক্রান্ত তথ্য আবেদনকারীকে দিতে হবে।