তিনদিনের দীপাবলী উতসবের সূচনা করে রাম, সীতা, লক্ষ্মণের ভূমিকায় অভিনয় করতে আসা কুশীলবদের স্বাগত জানান আদিত্যনাথ। ১ লক্ষ ৭৫ হাজার প্রদীপ জ্বালানো হয়। অতীতে এমন বিশাল আয়োজন হয়নি অযোধ্যায়।
/code>
তবে বিরোধীরা যা-ই বলুন, গেরুয়া বসনধারী মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর ধর্মবিশ্বাস পালনের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলার এক্তিয়ার কারও নেই।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রধান মন্দিরগুলির অন্যতম গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরেরও প্রধান। তিনি বলেছেন, এটা আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ব্যাপার। বিরোধীরা এতে নাক গলায় কী করে?
বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, দীপাবলী উদযাপনে অযোধ্যায় যে লাখ লাখ মানুষ আসছেন, তাঁদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আয়োজন কতটা হয়েছে এবং সামগ্রিক প্রস্তুতি নিজে খতিয়ে দেখতেও তিনি এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এটা আমার কর্তব্য এবং আমি রাজ্যের প্রতিটি এলাকার উন্নয়নে দায়বদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন আদিত্যনাথ।
গতকাল রামের ঘরে ফেরার কাহিনি অযোধ্যার মঞ্চে অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে আসা হয় চপারে। অভিনয় মঞ্চ তৈরি হয় হিন্দুত্ববাদীদের মন্দির ভেঙে নির্মিত বলে দাবি করে ১৯৯২ সালে গুঁড়িয়ে দেওয়া বাবরি মসজিদস্থলের কাছে। রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের মত, ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে হিন্দু ভাবাবেগ জাগিয়ে তোলাই উদ্দেশ্য আদিত্যনাথ সরকারের।
পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদের মন্তব্য, এত বিপুল সংখ্যক মাটির প্রদীপ জ্বলতে দেখলে ভালই লাগে। তবে আশা করি, মুখ্যমন্ত্রী দেশব্যাপী মুসলিমদেরও এই উত্সবে ডেকে নেবেন।