চেন্নাই: দিল্লি ও ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নে দূষণ রোধ করার লক্ষ্যে দীপাবলিতে আতসবাজি বিক্রির উপর সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে, তখন পাখি, বাদুড়দের কথা ভেবে আতসবাজি ছাড়াই দীপাবলি পালন করছেন তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলি জেলার কুঠানকুলাম গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। একইভাবে সালেম জেলার ভাভভাল থোপ্পু, নাগাপট্টিনমের মন্দির নগরী সিরকাজির কাছে পেরামবুর গ্রাম ও কাঞ্চিপুরমের কাছে ভিশারের বাসিন্দারাও দীপাবলিতে আতসবাজি জ্বালাচ্ছেন না।

কুঠানকুলাম গ্রামে একটি পাখিরালয় আছে। সেখানে রাজহাঁস, পেলিক্যান, স্পুনবিল, সারস, বক, হাঁস সহ বিভিন্ন ধরনের পরিযায়ী পাখি আসে। তাদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, তার জন্য গ্রামবাসীরা লাউডস্পিকারও ব্যবহার করেন না। সেই কারণেই আতসবাজিও জ্বালানো হয় না এই গ্রামে।

পেরামবুরের বাসিন্দারা বলেছেন, পাখি ও বাদুড়রা যাতে ভয় না পায়, তার জন্য প্রায় ১০০ বছর আগে আতসবাজি না জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই রীতিই পালন করছেন তাঁরা। পাখিরালয়টির পাশের আটটি গ্রামে গত ১৮ বছর ধরেই আতসবাজি জ্বালানো হয় না। এবারও দীপাবলিতে এই গ্রামগুলিতে আতসবাজি দেখা যাচ্ছে না।