চেন্নাই: তামিলনাড়ু বিধানসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার অবয়ব মূর্তি বসানো নিয়ে নতুন বিতর্ক। দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত জয়ললিতার মূর্তি সরানোর আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিরোধী শিবির।


সোমবার, তামিলনাড়ু বিধানসভা ভবন চত্বরে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর ৭ ফুট উঁচু অবয়ব মূর্তির উন্মোচন করেন স্পিকার পি ধনপাল। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী সহ একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা। এর এক-ঘণ্টার মধ্যে মূর্তি সরানোর দাবি নিয়ে আদালতে আবেদন করে বিরোধীপক্ষ।


মাদ্রাজ হাইকোর্টে দায়ের করা আবেদনে বিরোধী ডিএমকে দাবি করে, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন মামলায় প্রয়াত জয়ললিতাকে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালত। কর্নাটক হাইকোর্ট সেই রায় খারিজ করে জয়ললিতাকে মুক্তি দেন। সুপ্রিম কোর্ট জয়ললিতা সহ সকল অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে।


আবেদনকারীর মতে, এই প্রক্রিয়া চলাকালীন জয়ললিতার মৃত্যু হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা স্বাভাবিকভাবেই খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু, বাকি অভিযুক্তদের সাজা হয়। তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।


আবেদনকারী জানান, ইতিমধ্যেই সমস্ত সরকারি দফতর, বিল্ডিং, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এবং সরকারি প্রকল্প থেকে জয়ললিতার ছবি ও নাম সরানোর আবেদন করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে ডিএমকে, যা এখনও বিবেচনাধীন।


আবেদনকারী জানান, এমতাবস্থায় ‘একতরফাভাবে’ নতুন মূর্তি উন্মোচন করার সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার। আবেদনকারীর দাবি, পাশাপাশি স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, অবৈধ, অযৌক্তিক এবং আইনের অপব্যবহার। আবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের অবমাননার সামিল।


এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ যখন প্রধান বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন প্রথম বেঞ্চ তাদের কাজ শুরু করে, তখনই এই আবেদন পেশ করে জরুরিভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানান বিরোধী কৌঁসুলি। যদিও, কার্তি চিদম্বরমের মামলার শুনানি থাকায় বিচারপতিরা জানান, মঙ্গলবার এই আবেদন শোনা হবে।