হিউস্টন: আমেরিকায় থাকা নিয়ে তাঁর সংশয় ছিল। কিন্তু স্বামী এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, আমেরিকায় ভাল জিনিস ঘটেই থাকে। জানালেন কানসাসে মৃত ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার শ্রীনিবাস কুচিভোটলার স্ত্রী। গারমিন নামে যে জিপিএস প্রস্তুতকারক সংস্থায় শ্রীনিবাস চাকরি করতেন, তাদের আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে সুনয়না দুমালা বললেন, আমেরিকায় যেভাবে একের পর এক পক্ষপাতের ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে ভীত সংখ্যালঘুরা। তাঁর প্রশ্ন, আমরা কি সত্যিই এখানকার?


সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধ বা হেট ক্রাইম বন্ধ করতে মার্কিন প্রশাসন ঠিক কী পদক্ষেপ নেবে তা জানতে চান তিনি।

সুনয়না জানিয়েছেন, যেভাবে আমেরিকায় বার বার গুলি চালনার ঘটনা ঘটে, তাতে তাঁর মনে সংশয় ছিল, এখানে থাকা উচিত কিনা। কিন্তু তাঁর স্বামী তাঁকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, এখানে ভাল জিনিসও ঘটে।

হিউস্টনে অবস্থিত ভারতীয় কনসাল জেনারেল অনুপম রায় এই পরিস্থিতিতে সুনয়নার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। গুলি চালনার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে কনস্যুলেটের দুই আধিকারিককে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কানসাসে, শ্রীনিবাসের পরিবারের সঙ্গে থাকতে। তখন থেকেই তাঁরা ওই পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন, সুনয়াকে আশ্বাস দিয়েছেন, সবরকম সাহায্য তাঁদের করা হবে।

ভীত, সন্ত্রস্ত স্থানীয় ভারতীয় পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁরা, কথা বলেছেন বুধবার রাতের গুলি চালনায় আর এক আহত ভারতীয় অলোক মাদাসানির সঙ্গে।

মাদাসানি এই মুহূর্তে সুস্থ, তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনি রীতিমত আহত। শোকগ্রস্ত পরিবারটিকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, ঘটনার রাতে বন্দুকবাজ অ্যাডাম পুরিন্টন ওই বারে ঢুকে গায়ে পড়ে শ্রীনিবাস ও তাঁর সহকর্মী অলোকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন করে, কেন তাঁরা এ দেশে থেকে রোজগার করছেন। তাঁরা এমন কী কাজ করেন, যা সে করতে পারে না। কথা কাটাকাটির পর সে বার থেকে বেরিয়ে যায়, তারপর ফিরে আসে বন্দুক হাতে।

স্থানীয় পুলিশ ও এফবিআই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। দেখছে, সত্যিই এই ঘটনা হেট ক্রাইম কিনা। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা পরিষ্কার জানিয়েছেন, জাতিবিদ্বেষ থেকেই ঘটেছে এই গুলি চালনা। গুলি চালানোর আগে পুরিন্টন চিৎকার করে উঠেছিল, ‘বেরিয়ে যাও আমার দেশ থেকে’।