নয়াদিল্লি:  বাবা-মায়ের সম্মতি ছাড়াই এক শিশুর হাতের দুটি আঙুল কেটে বাদ দেওয়ার জন্য ওই চিকিত্সককে খেসারত হিসেবে সাড়ে চার লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ গ্রাহক কমিশন।  ন্যাশনাল কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশন (এনসিডিআরসি) পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ওই চিকিত্সক এ কে সরকারের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। অজিত ভারিহোকের নেতৃত্বাধীন কমিশনের বেঞ্চ নির্দেশ দিতে গিয়ে এই মামলায় ট্রায়াল আদালতের  রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। আদালত চিকিত্সককে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। অজিত ভারিহোক বলেছেন, ট্রায়াল কোর্টের রায় আপিল আদালতও বহাল রাখে।
সর্বোচ্চ কমিশন রাজ্য কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে চিকিত্সকের আর্জি খারিজ করে দিয়ে বলেছে, আঙুল কেটে ফেলায় সাড়ে চার লক্ষ টাকার খেসারত এমন কিছু বেশি নয়।
উল্লেখ্য, রাজ্য কমিশন জেলা কমিশনের রায় বহাল রেখেছিল।
ওই চিকিত্সকের রাজস্থানে একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে।
২০০৪-এ উদয়পুরের বাসিন্দা নারায়ণ লালের ছেলে সম্পত কুমার আটা কলের মেশিনে দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাকে ওই চিকিত্সকের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিত্সক সম্পতের বাবা-মাকে সব কিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু বাবা-মায়ের সম্মতি না নিয়েই সম্পতের হাতের আঙুলে কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় ফৌজদারি মামলা রুজু করা হয়। চিকিত্সক আঙুল কেটে বাদ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ওই শিশুর অবস্থা দেখে তিনি তাকে হাসপাতালে ভর্তি নিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু তার বাবার অনুরোধের ভিত্তিতে তিনি সম্পতের প্রাথমিক চিকিত্সা করেন এবং ব্যান্ডেজ বেঁধে দেন।