পটনা:  ফের বিতর্কে পাপ্পু যাদব। বিহারের এই বিধায়কের অভিযোগ, চিকিৎসকরা আদতে জল্লাদের চেয়েও ‘অধম’! তাঁদের সামাজিক বয়কটেরও দাবি তোলেন এই নেতা।

কিন্তু কেন আচমকা চিকিৎসকদের আক্রমণ করতে গেলেন পাপ্পু? সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভাগলপুরে রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব বলেন, একজন জল্লাদ নিজের কাজের জন্য পারিশ্রমিক দাবি করে থাকেন। তাও তখন যখন মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত আসামী জীবিত রয়েছে।

পাপ্পু যাদবের মতে, চিকিৎসকরা এই জল্লাদের চেয়েও অধম কারণ, তাঁরা রোগী মৃত্যুর পরও তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের থেকেও টাকা আদায় করেন। উত্তর বিহারের মাধেপুরার সাংসদ পাপ্পু সম্প্রতি এসেছিলেন তাঁর দল জন অধিকার পার্টি (জাপ)-এর ডাকা ভাগলপুর বনধের সমর্থনে প্রচার করতে।

অপরাধমূলক ঘটনা-বৃদ্ধি, বন্যা পীড়িতদের ত্রাণ-বণ্টনের গাফিলতি, শিক্ষাক্ষেত্রে মাফিয়ারাজ এবং সর্বোপরি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রোগীদের ব্যক্তিগত ক্লিনিকে পাঠানোর অভিযোগ নিয়ে ভাগলপুর বনধের ডাক দেয় জাপ।

পাপ্পুর অভিযোগ, রোগীদের নিজ নিজ প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠিয়ে সেখানে তাঁদের থেকে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ দাবি করেন চিকিৎসকরা। জনতার উদ্দেশ্যে তাঁর দাবি, যে সকল সরকারি চিকিৎসক ব্যক্তিগত ক্লিনিক চালাচ্ছেন, তাঁদের দিকে পচা ডিম ছুঁড়ে মারুন। চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য নার্সিংহোমে রোগীমৃত্যু হলে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দিন।

পাপ্পুর আহ্বান, চিকিৎসাক্ষেত্রে এই অরাজকতা বন্ধ করতে অবিলম্বে ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট-এ সংশোধন আনা প্রয়োজন। তবে, পাপ্পু এদিন একইসঙ্গে পাপ্পু স্বীকার করে নেন, কিছু চিকিৎসক আজও আছেন যাঁরা মানবসেবায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তবে, বেশিরভাগই এখন সাধারণ মানুষের প্রতি অসংবেদনশীল।

পাপ্পু জানিয়ে দেন, চিকিৎসকদের এই অনৈতিকতার বিরুদ্ধাচরণ করা তাঁর দলের অ্যাজেন্ডায় প্রাধান্য পাবে। এদিন পাপ্পুর পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী রঞ্জীত রঞ্জন, যিনি আবার সহর্ষের কংগ্রেস সাংসদ।

পাপ্পু বলেন, রোগীদের নিজেদের ক্লিনিকে পাঠিয়ে সেখানে মাত্রাতিরিক্ত টাকা আদায় করার জন্য চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বহু জন-আদালত বসিয়েছেন তাঁর স্ত্রী।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে নিজের এলাকায় শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চিকিৎসকদের ফি- নির্ধারণ করার ডাক দিয়েছিলেন পাপ্পু। একইসঙ্গে জানিয়েছিলেন, এতেও তাঁরা না শোধরালে তিনি বৃহত্তর আন্দোলন করবেন।