উদয়পুর:  বাইশ বছরের এক তরুণের শরীরে ছিল নারীর জননতন্ত্র। চিকিত্সকদের ভাষায় ওই তরুণ পিএমডিএস রোগে আক্রান্ত। বেশ কয়েকমাস ধরে উদয়পুরে ওই তরুণের চিকিত্সাও চলছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, প্রথমে তরুণের শরীরে নারীর জননতন্ত্র দেখে অবাকই হয়েছিলেন চিকিত্সকরা ।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তরুণের পেট থেকে জরায়ু, ডিম্বাশয় এবং সার্ভিক্স সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলেছে চিকিত্সকরা। আপাতত ওই তরুণ সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান বলেও জানিয়েছেন। পরে বিয়ে করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।

যে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ওই তরুণের ওপর এই অস্ত্রোপচার করেছেন, তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কেরিয়ারে এই প্রথম তিনি এধরনের অস্ত্রোপচার করলেন। চিকিত্সা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন ধরনের মাত্র চারশোটি কেসই এখনও পর্যন্ত ঘটেছে। ওই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর শিল্পা গোয়েল জানিয়েছেন, তিনি একজন মহিলার দেহে অস্ত্রোপচার করতে স্বচ্ছন্দ। কিন্তু একজন পুরুষের দেহে কোথায় জরায়ু রয়েছে, এবং কেটে বাদ দিলে তাঁর শরীরের ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে, তাই নিয়ে তিনি একটু হলেও চিন্তিত ছিলেন।

তবে বুধবার তিনি ইউরোলজিস্ট ডক্টর মনীষ ভট্টকে সঙ্গে নিয়ে এই অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পূর্ণ করলেন।

ওই তরুণ মূলত পার্সিসটেন্ট মুলেরিয়ান ডাক্ট সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিলেন। পিএমডিএস-এ আক্রান্ত পুরুষের শরীরে নারী এবং পুরুষ দুজনেরই জননতন্ত্র থাকে। তবে নারী জননতন্ত্র থাকলেও, ওই সমস্ত পুরুষদের ক্রোমোজম এবং যৌনাঙ্গ যেমন থাকার তেমনই থাকে।

আনডিসেনডেড টেস্ট এবং ফ্লেশি হার্নিয়ার উপস্থিতিই এই রোগের প্রথম উপসর্গ। জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ান টিউব চিকিত্সা চলাকালে আবিষ্কার করা হয়। ১৮ মাস থেকে ২৯ বছর বয়সি তরুণদের দেহে এধরনের অস্বাভাবিকতা থাকলে চিকিত্সা করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। তবে তরুণের মা-বাবা এর উপস্থিতির কথা জানলেও, এখন তরুণের বিয়ে দেবেন বলে এই অস্ত্রোপচার করিয়ে নিলেন।