নয়াদিল্লি:  ডোকলাম নিয়ে নয়াদিল্লির পাশে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর দাঁড়ালো জাপান। ভারত-চিন সীমান্তে গত দুমাস ধরে চলা এই অস্থিরতা প্রসঙ্গে ভারতে জাপানের দূত কেনজি হীরামাৎসুকের কাছে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেসময় তিনি জানান, এভাবে যদি ক্রমাগত অচলাবস্থা চলে, তাহলে পুরো এলাকার স্থিতাবস্থার ওপরই তার প্রভাব পড়বে। আপাতত  তাঁরা পুরো পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।


ডোকলাম ইস্যুতে জাপান সমুদ্রপথে চিনের আগ্রাসন নীতিকে পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, প্রত্যেক দেশেরই উচিৎ নিজেদের মধ্যে হওয়া চুক্তিকে সম্মান করা। জোর করে, প্রভাব খাটিয়ে কোনও পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা উচিৎ নয় । বরং কোনও বিতর্কিত এলাকা নিয়ে সমস্যা মেটাতে হলে সবপক্ষের উচিৎ এক জায়গায় বসে, পুরো বিষয়টাকে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা।

জাপানের রাষ্ট্রদূত তাঁর মন্তব্যে আরও বলেন, তাঁরা জানেন ডোকলাম নিয়ে চিন-ভুটানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। এদিকে ভারতের যেহেতু ভুটানের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে, সেইজন্যে এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। যদিও এই বিতর্কের মাঝেও চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়, ভুটান কূটনৈতিক মাধ্যমে তাদের কাছে জানিয়েছে, ডোকলামের বিতর্কিত এলাকা তাদের নয়। তারপর অবশ্য ভুটান এপ্রসঙ্গে নিজেদের মনোভাব পরিস্কার করে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ডোকলাম ইস্যুতে চিনের নীতি, বিতর্কিত এলাকা থেকে ভারত সেনা না সরালে, তারা কোনও রকম আলোচনা শুরু করবে না। এদিকে এই ইস্যুতে ভারতকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে জাপান জানিয়ে দিয়েছে, ভুটানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধতার জন্যে ভারত এই বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। যেহেতু ভারত কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজছে, তাই নয়াদিল্লিকেই সমর্থন করছে জাপান।

এদিকে, বুধবারই মার্কিন প্রশাসন চিন এবং ভারত দুদেশের প্রতিনিধিদেরই ফোন করে সমস্যাটি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয় ফেলার পরামর্শ দেয়। আন্তর্জাতিক মহলে ডোকলাম নিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। তবে এবিষয়ে শেষপর্যন্ত বেজিং ও নয়াদিল্লি কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে সারা বিশ্ব।