নয়াদিল্লি: ভারত ও চিনের মধ্যে ডোকালাম ঘিরে চলতি বিরোধ, সংঘাতের সমাধান হবে শীঘ্রই এবং চিনও সমস্যা মেটাতে ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে বলে তিনি নিশ্চিত। ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি)-এর এক অনুষ্ঠানে বললেন রাজনাথ সিংহ।

ভারত সব প্রতিবেশীর সঙ্গেই সুসম্পর্ক, শান্তি চায়, কখনই কাউকে আগ্রাসন বা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটে না,  এই বার্তা দিতে চান বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে অবশ্য তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীর দেশের সীমান্ত, ভূখণ্ড রক্ষায় সক্ষম।

তিনি বলেন, ভারতের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার যাবতীয় ক্ষমতা আমাদের বাহিনীর আছে। এমন কোনও বিশ্বশক্তিই নেই যার ভয়ে ভারত গুটিয়ে যাবে।

ভারতের সকলের সঙ্গে বন্ধু হয়ে, মিলেমিশে থাকার মানসিকতার প্রমাণ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০১৪ সালের মে মাসের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সব প্রতিবেশী দেশের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন রাজনাথ।

প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ৪০৫৭ কিমি দীর্ঘ ভারত-চিন সীমানা টহল দেন আইটিবিপি জওয়ানরা।

গত ১৫ আগস্ট লাদাখে চিনের নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ, পাথর ছোঁড়াছুড়ির ঘটনায় জড়িয়ে পড়া ভারতীয় বাহিনীতে ছিলেন আইটিবিপি জওয়ানরা। লাদাখের পাংগং-এ দুদেশের বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তির পর সিকিমের ডোকালাম নিয়ে সংঘাত আরও চরমে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ডোকালামে চিনা সেনাবাহিনীকে রাস্তা নির্মাণে ভারতীয় সেনারা বাধা দেওয়ায় চলতি সংঘাতের শুরু। চিনের দাবি, নিজেদের ভূখণ্ডেই তারা রাস্তা বানাচ্ছিল। বিতর্কিত ওই এলাকা থেকে অবিলম্বে সেনা সরাতে হবে ভারতকে। ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে চিনের সরকারি মিডিয়ায় ডোকালাম নিয়ে একাধিক নিবন্ধ ছাপা হয়েছে, যার আক্রমণ ও কটাক্ষ, বিদ্রূপের নিশানা ভারত।

ভূটান ডোকালাম তাদের বলে জানালেও চিনের দাবি, ওটা তাদের জায়গা।