এদিকে ট্রাম্পের শপথগ্রহণের আগেই ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদের সতর্ক মন্তব্য, ভারতের আমেরিকার সঙ্গে আগেও সুসম্পর্ক বজায় ছিল, আগামী দিনেও থাকবে। তিনি তথ্য দিয়ে বলেন, মার্কিন অর্থনীতির উন্নতিতে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির ৬০ শতাংশ অবদান রয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের এই বার্তায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ভারতীয় সংস্থাগুলি।
ন্যাসকম প্রেসিডেন্ট আর চন্দ্রশেখরও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মন্তব্য করেন, একজন ব্যবসায়ী হিসেবে নিশ্চয়ই ট্রাম্প এমনকোনও চরম নীতি নেবেন না, যার জেরে ধাক্কা খাবে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক।
ট্রাম্প তাঁর শপথ বক্তৃতায় মার্কিনবাসীর স্বার্থ রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর বলে জানান। তাই তিনি সেই সমস্ত দেশ যারা আমেরিকার থেকে ব্যবসা, বাণিজ্য, চাকরি ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের কড়া দাওয়াই দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। তাঁর মতে আমেরিকার স্বার্থরক্ষা ওই দেশের উন্নতির জন্যেই প্রয়োজন।
এই বক্তৃতার পর প্রত্যক্ষভাব কেউ কিছু না বললেও, সম্প্রতি আমেরিকার ভিসা নীতিতে পরিবর্তনও তারই প্রতিফলন। ভিসা নীতির কড়াকড়ি, আদপে প্রভাব ফেলবে ব্যবসায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও কড়া পদক্ষেপ প্রভাব ফেলবে টিসিএস, ইনফোসিস, উইপ্রোর ব্যবসায়, মত বিশেষজ্ঞদের। তবে প্রত্যেকেরই বিশ্বাস ট্রাম্প তেমন কোনও চরম পদক্ষেপ কখনওই গ্রহণ করবেন না, যার জেরে ধস নামতে পারে ভারতীয় বাজারে।