মুম্বই: রাহুল গাঁধীর নেতৃত্ব মানতে নারাজ হার্দিক পটেল? গুজরাতের পাতিদার আন্দোলনের মুখ চান, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী সক্রিয় রাজনীতিতে নামুন।
পাতিদারদের সংরক্ষণের দেওয়ার দাবিতে গুজরাতে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। রাজ্যের অতি সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর পাতিদার অনামত আন্দোলন সমিতি (পাস) কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। কিন্তু হার্দিক এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ব্যক্তিগত ভাবে রাহুল গাঁধীকে পছন্দ করি। কিন্তু উনি আমার নেতা নন, ওঁকে নেতা মনে করি না।
একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে রাহুলের বোন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর সক্রিয় রাজনীতিতে নামা উচিত বলে অভিমত জানান হার্দিক।
তাঁর দাবি, কংগ্রেস তাঁর আন্দোলনকে 'পূর্ণ শক্তি' দিয়ে সমর্থন করলে গুজরাত বিধানসভা ভোটে বিজেপি ৯৯ নয়, কমে ৬০টি আসনে নেমে যেত।
কংগ্রেস ১৮২ আসনবিশিষ্ট গুজরাত বিধানসভায় ৭৭টি আসন জিতেছে। হার্দিক অবশ্য বলেন, গুজরাত বিধানসভায় কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধিতে আমি খুশি। এখন কংগ্রেস বিধায়করা গুজরাতের মানুষের কথা আরও বেশি জোরে বলতে পারছেন।
বৈধ বয়স না থাকায় গত বিধানসভা ভোটে লড়তে পারেননি ২৪ বছর বয়সি হার্দিক। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগামী বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়ছি না। রাজনৈতিক ভোটযুদ্ধে নামার বৈধ বয়স হয়ে গেলেও আমি আগামী বছর ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছি। ভোটে লড়া থেকে কেউ আমায় আটকাতে পারে না। তবে আমি মনে করি, যে জনসাধারণকে বিধানসভা বা লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করব, আগে তাদের ভাবনা, চাহিদা বোঝা বেশি জরুরি। আগে আমি বুঝতে চাই, মানুষ কী চায়, তাদের প্রত্যাশা কী।
অনুষ্ঠানে আরেক সংরক্ষণপন্থী আন্দোলনের নেতা অল্পেশ ঠাকোর দাবি করেন, বিজেপি অর্থ ও পেশীশক্তির জোরে বিধানসভা ভোটে ৯৯টি আসন পেয়েছে। নয়তো গুজরাতের ফল অন্যরকম হোত। রাধানপুর কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটে জেতা এই নেতা বলেন, গুজরাতে গত কয়েক বছর ধরে তিনটি আন্দোলন চলছিল। পাতিদার আন্দোলন, দলিত আন্দোলন ও ওবিসি আন্দোলন। এই আন্দোলনগুলির নেতারা সবাই কংগ্রেসকে সমর্থন করার জন্যই আমরা এত আসন পেয়েছি।