জনৈক রাজীব কুমার খারে তথ্যের অধিকার আইনে অর্থমন্ত্রকের কাছ থেকে মাল্যর ঋণের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি অর্থমন্ত্রক। খারেকে জানানো হয়, রাষ্ট্রের আর্থিক স্বার্থে এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তার স্বার্থে এই বিষয়টি তথ্যের অধিকার আইন থেকে ছাড় পাবে। এরপর সিআইসি-র দ্বারস্থ হন খারে। মুখ্য তথ্য কমিশনার আর কে মাথুর অর্থমন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে এই প্রশ্নটি পাঠাতে হবে।
অর্থমন্ত্রক এখন মাল্যর ঋণের বিষয়ে তথ্য না দিলেও, অতীতে সংসদে এ বিষয়ে জবাব দিয়েছে। গত বছরের ১৭ মার্চ এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গবর বলেছিলেন, ‘২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে মাল্যকে ঋণ দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই ঋণের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। ২০০৯ সালে এই ৮,০৪০ কোটি টাকার ঋণকে নন-পারফর্মিং অ্যাসেট হিসেবে ঘোষণা করে ইউপিএ সরকার। ২০১০ সালে এই নন-পারফর্মিং অ্যাসেট নতুন করে হিসেব করা হয়।’
এরপর গত বছরের ২১ মার্চ রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি জানিয়েছে, ঋণখেলাপী বিজয় মাল্যর বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি অনলাইনে নিলামের মাধ্যমে ১৫৫ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে।’