রাজগুরু ছিলেন আরএসএসের 'স্বয়মসেবক'! বইয়ে দাবি, কোনও প্রমাণ নেই, বললেন বংশধরেরা
Web Desk, ABP Ananda | 03 Apr 2018 07:04 PM (IST)
মুম্বই: প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রাজগুরুকে একটি বইয়ে আরএসএসের 'স্বয়মসেবক' বলে তুলে ধরার তীব্র বিরোধিতা করলেন প্রয়াত দেশপ্রেমিকের উত্তরাধিকারীরা। বইটি লিখেছেন নরেন্দ্র সেহগাল নামে এক সাংবাদিক, যিনি প্রাক্তন আরএসএস কর্মীও বটে, ওই বইয়ে লিখেছেন,১৯৩১ সালে ভগত্ সিংহ, সুখদেবের সঙ্গে ফাঁসি হওয়া রাজগুরু ছিলেন সঙ্ঘের স্বয়মসেবক। যদিও রাজগুরুর ভাইয়ের দুই নাতি সত্যশীল ও হর্ষবর্ধন রাজগুরুর দাবি, রাজগুরু আরএসএসের স্বয়মসেবক ছিলেন, এহেন দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। তাছাড়া আমাদের দাদুও আমাদের সেকথা বলে যাননি। তবে এটা ঠিক যে, রাজগুরু যে অল্প কিছুদিন নাগপুরে ছিলেন, সে সময় তার আয়োজন, ব্যবস্থা করেছিলেন সঙ্ঘের এক স্বয়মসেবক। রাজগুরু ছিলেন গোটা দেশের একজন বিপ্লবী, কোনও বিশেষ একটি দলের সঙ্গে তাঁর নাম যোগ করা অনুচিত। এর মধ্যেই আবার আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার রাজগুরুর নাগপুরে থাকার গোপনে বন্দোবস্ত করে দিয়ে থাকতে পারেন বলে দাবি করেছেন শীর্ষ আরএসএস নেতা এম জি বৈদ্য। রাজগুরু নাগপুরে সঙ্ঘের মোহিতে বাগ শাখায় এসেছিলেন কিনা, প্রশ্ন করা হলে বৈদ্য বলেন, হয়তো এসেছিলেন। ডঃ হেডগেওয়ার হয়তো কিছু একটা বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন ওনাকে। স্বাধীনতা আন্দোলনে 'আন্ডারগ্রাউন্ডে' থাকার সময় অরুণা আসফ আলিও দিল্লির আরএসএস কর্মী হংসরাজ গুপ্তার বাড়িতে ছিলেন। রাজগুরুও নাগপুরে এলে ডঃ হেডগেওয়ার তাঁর থাকার জায়গা ঠিক করে দিয়েছিলেন, এটা হতেই পারে। কেননা উনিও বিপ্লবী ছিলেন, বিপ্লবীদের সঙ্গে ওনার যোগাযোগও ছিল। তবে রাজগুরুকে নিয়ে সঙ্ঘের 'বৌদ্ধিক' আলোচনায় চর্চা হওয়ার কথা তিনি শোনেননি বলে জানান বৈদ্য।