নয়াদিল্লি: ১০ কোটি টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা রাখার শর্তে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের পুত্র কার্তি চিদম্বরমকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে তিনি আইএনএক্স মিডিয়া ও এয়ারসেল ম্যাক্সিস মামলার তদন্তে সহযোগিতা না করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর হবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ, তিনি আইন মেনে চলবেন, এই মর্মে কার্তিকে হলফনামা দিতে বলেছে, ৫, ৬, ৭ ও ১২ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ইডি-তে হাজিরা দিতেও বলেছে।
বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতিদ্বয় দীপক গুপ্তা ও সঞ্জীব খন্না। বেঞ্চ কার্তিকে বলেছে, আপনি যেখানে খুশি যেতে পারেন, যা খুশি করতে পারেন, কিন্তু আইন নিয়ে খেলবেন না। আপনার তরফে তিলমাত্র অসহযোগিতার ইঙ্গিত পেলেই আমরা কঠোর পদক্ষেপ করব। ১০ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেখানে ইচ্ছা যান, কিন্তু তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে আপনাকে। তদন্তে আপনি সহযোগিতা করছেন না। আমাদের অনেক কিছুই বলার ছিল, কিন্তু এখনই বলছি না।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ইডি-র হয়ে বলেন, মামলার তদন্তে মার্চের চারটি দিন কার্তির উপস্থিতি চায় এজেন্সি। তিনি যাতে ভারতে ফেরেন, তা সুনিশ্চিত করতে অতীতের মতো শর্ত আরোপ করুক আদালত। বেঞ্চ তা গ্রহণ করে কার্তিকে হলফনামা দিতে বলে, ১০ কোটি টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা দিতে বলে সর্বোচ্চ আদালতের সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে, যা তিনি দেশে ফিরলে ফেরত্ পাবেন। তাঁর আইনজীবী ১০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুললে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনি কি চান, আরেকটা শূন্য যোগ করি!
কার্তি ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, ব্রিটেন যাওয়ার অনুমতি চান, আন্তর্জাতিক টেনিস প্রতিযোগিতার কর্মকতা হিসাবে থাকার জন্য।
তবে তদন্ত সংস্থা এর আগে কার্তির বিদেশযাত্রার আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছিল, উনি বাইরে গেলেন পালিয়ে বেড়ান, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না, তদন্ত শেষ করায় দেরি করিয়ে দিচ্ছেন। তাছাড়া গত ৬ মাসে ৫১দিন তিনি বিদেশে কাটিয়েছেন বলেও জানিয়েছে তারা। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেন যাত্রায় তারা অনুমতি দেয় কার্তিকে।
কার্তির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলা হল তাঁর বাবা অর্থমন্ত্রী থাকাকালে ৩০৫ কোটি টাকা বিদেশি তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে এফআইপিবি ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে। তিনি এয়ারসেল ম্যাক্সিস ও বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায়ও অভিযুক্ত। ইডি-র অভিযোগ, বিদেশযাত্রায় অনুমতির মাধ্যমে আদালত যে ছাড় দিয়েছে, তার চরম অপব্যবহার করেছেন কার্তি, মামলার তদন্তেও দেরি করিয়ে দিচ্ছেন।