এরপরই আর.এস শর্মা সিস্টেমের ওপর আস্থা আছে, সেটা প্রমাণ করতে, নিজের আধার নম্বর অনলাইনে পোস্ট করেন। সেই ঘটনার ঠিক তিনদিন পর, Unique Identification Authority of India (UIDAI)-এর তরফে বিবৃতি দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে স্পষ্ট লেখা আচে, কোনও অবস্থাতেই কোনও চ্যালেঞ্জের বশবর্তী হয়ে, কেউ যেন নিজের আধার নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট না করেন। এছাড়া অন্য কাউকেও তাঁর আধার নম্বর পোস্ট করার জন্যে যেন কোনও রকম চ্যালেঞ্জ না ছুঁড়ে দেন।
শর্মা হচ্ছেন, ইউআইডিএআই-এর প্রাক্তন প্রধান। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে শর্মা নিজের আধার নম্বর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দিয়ে দেন। এরপরই বহু নেটিজেন শর্মার বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন মোবাইল নম্বর, ই-মেল আইডি, বাড়ির ঠিকানা দিতে শুরু করেন। তারপরই জানা যায়, এই তথ্যগুলি আধারের তথ্যভাণ্ডারে গিয়ে নয়, সার্চ ইঞ্জিনে গিয়েই পাওয়া গিয়েছে। শুধু এখানেই বিপত্তির শেষ নয়, শর্মাকে দেখে, অন্য নেটিজেনরাও নিজেদের আধার নম্বর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে শুরু করেন। সঙ্গে অন্যদের দিতে থাকেন আধার চ্যালেঞ্জ। এখানে আসন্ন যে বিপদের সম্ভাবনা আছে, সেকথা মাথায় রেখেই ইউআইডিএআই সতর্কবার্তা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। আধার নম্বর অত্যন্ত স্পর্শকাতর তথ্য, মন্তব্য ইউআইডিএআইয়ের। এর কোনওধরনের অপব্যবহার ফৌজদারি অপরাধের সমতুল্য। কোনও ব্যক্তি বা কেউ যদি অন্যের আধার নম্বর ব্যবহার করছে এই অবস্থায় ধরা পড়েন, তাহলে তাঁর কঠিন শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে।