বেঙ্গালুরু: যে মেয়েরা দেখতে ভাল নন, তাঁদের বিয়ে করবেন কারা। বিপুল পরিমাণ পণের বদলে এই মেয়েদের বিয়ে সম্ভব হচ্ছে। অতএব ইতিবাচক দিক রয়েছে পণপ্রথার। বেঙ্গালুরুর এক নামী কলেজের সোশিওলজি বা সমাজবিদ্যার বইয়ে এভাবেই পণপ্রথার প্রশংসা করা হয়েছে।
কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ফটোকপি বিলি হয়েছে পাতাটির।
১৯৬১ থেকে এ দেশে বিয়েতে পণ চাওয়া বা দেওয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু ওই বইতে বলা হয়েছে, পণপ্রথা ভাল, তাতে কুরূপা মেয়েরা স্বামীসুখ পান। তা ছাড়া এর আরও নানা ইতিবাচক দিক রয়েছে। যেমন সুদর্শন, সচ্চরিত্র অথচ বিয়েতে পরাঙ্মুখ যুবকরা পণ পেলে বিয়ে করতে আগ্রহী হন, এর ফলে স্বনিযুক্তি বাড়ে, পরিবারে নববধূর গুরুত্বও বাড়ে। এর ফলে গরিব ঘরের মেধাবী ছেলেরা উচ্চ শিক্ষায় যেতে পারেন, পারেন ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে।
যে কলেজটিতে সমাজবিদ্যার এই পাঠ দেওয়া হচ্ছে, তার নাম সেন্ট জোসেফস কলেজ। কলেজের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, কেন পড়ার বইতে এ সব লেখা হয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ধরনের মতবাদ সমর্থন করে না বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এ বছরের শুরুতে এমনই একটি ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয় মহারাষ্ট্র সরকার। দেখা যায়, একটি পাবলিক স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির সমাজবিদ্যার বইতে লেখা রয়েছে, কোনও মেয়ে যদি অসুন্দরী আর প্রতিবন্ধী হন, তবে তাঁর বিয়ে হওয়া খুব মুশকিল। এ ধরনের মেয়েকে বিয়ে করতে পাত্রপক্ষ বেশি টাকা পণ চায়। বাধ্য হয়ে এ ধরনের মেয়েদের অভিভাবকদের অনেক বেশি পণ ধরে দিতে হয় পাত্রপক্ষকে।
পণপ্রথা কুরূপা মেয়েদের বিয়ে হতে সাহায্য করে, বেঙ্গালুরুর কলেজে সোশিওলজি পাঠ
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
21 Oct 2017 09:28 AM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -