নয়াদিল্লি: ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মানসিক স্বাস্থ্যের দেখভালের জন্য নতুন কোর্স। দেশের  বিশেষ কিছু উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় ডিউটি করতে গিয়ে প্রতিটি মূহূর্তের প্রবল উত্তেজনা, টেনশনে ক্ষতি হচ্ছে ওঁদের। যেমন জম্মু ও কাশ্মীরে পাথর ছোঁড়া মারমুখী  জনতার রোষ সামলাতে হচ্ছে, তেমন সীমান্তে পাহারা দিতে গিয়েও ক্ষণে ক্ষণে বিপদের ভয়ে থাকতে হচ্ছে। সেখানে আরেক ভিলেন প্রতিকূল পরিবেশ। গত বেশ কয়েক বছরে তীব্র মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন কয়েকশ জওয়ান। বুরহান ওয়ানির মৃত্যু পরবর্তী পরিস্থিতিতেও কাজ করতে গিয়ে তীব্র মানসিক অশান্তি ভুগতে হচ্ছে ওঁদের।


অথচ কোটি কোটি ভারতবাসীর নিরাপত্তার গ্যারান্টি ওঁরা। দেশের মানুষ নিশ্চিন্তে রাতে সুখনিদ্রায় ডুবে থাকেন যখন, সীমান্তে তখন সদাসতর্ক নজর রাখতে হয় ওঁদের। দিন-রাত এক করে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখেন ওঁরা। রোদ-ঝড়-বৃষ্টিতে ছুটি নেই ওঁদের। নেই রবিবারের অলস সকাল, দুপুর। হাজার হাজার মাইল দূরে বাবা-মা-ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানকে পিছনে ফেলে সীমান্তে ডিউটি করেন ওঁরা।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মানসিক সুখ-শান্তির দিকটি বিবেচনা করে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা হাত মিলিয়েছে খড়্গপুরের আইআইটি-র সঙ্গে। জওয়ানদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে একটি সার্বিক ফিটনেস প্রোগ্রাম তৈরি করা হচ্ছে। এই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে জওয়ানরা টেনশনমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবেন বলে দাবি।

খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ ও ডিআরডিও-র জীবনবিদ্যা বিষয়ক বিভাগীয় শীর্ষকর্তার মত, জওয়ানরা মানসিকভাবে যত বেশি সুখী হবেন, তত বাড়বে কর্মদক্ষতা, কাজের প্রতি ভালবাসা, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ। সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ডিআরডিও-র কর্তাটি বলেছেন, যেমন ধরা যাক সিয়াচেন। সেখানে যে চরম প্রতিকূল আবহাওয়ায় দিনের পর দিন জওয়ানদের দায়িত্ব পালন করতে হয়, সেজন্য প্রচণ্ড সহনশীলতার প্রয়োজন হয়। এই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে সেই ক্ষমতা অর্জন করতে পারবেন তাঁরা।