দিল্লির নেহরু প্লেস থেকে ধরা পড়েছে কুণাল। পুলিশের জেরার মুখে স্বীকার করে নিয়েছে, আসলে সে তনুজ, প্লাস্টিক সার্জারি করে চেহারা পাল্টে ফেলেছিল। এক আধদিন নয়, ২০ বছর ধরে গাড়ি চুরি করছে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা গোপন সূত্রে খবর পায়, মুলচাঁদ হাসপাতালের পাশের রাস্তা দিয়ে একটি চোরাই আই ২০ গাড়ি আসছে। সেখানে গেলে চালক গাড়ি ফেলে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে, পুলিশের দিকে গুলিও চালায়। কিন্তু ধরা পড়ে যায় সে।
তখনও পুলিশ জানত না, যাকে গ্রেফতার করা হল, সে মামুলি কোনও চোর নয়, আসলে তার নাম তনুজ, ১৯৯৭ থেকে গাড়ি চুরিতে হাত পাকিয়েছে সে, রয়েছে ওয়ান্টেড লিস্টে। জেরায় কুণাল জানায়, সেই তনুজ, পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিল।
কুণাল বলেছে, প্রথমে গৃহস্থের বাড়ি ঢুকে চুরিচামারি করত সে। ১৬ বছর বয়স থেকে শুরু করে গাড়ি চুরি। তাতে গার্লফ্রেন্ডদের মন জিততে সুবিধে হত। এই করে করে সে গাড়ি চুরিতে বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠে, তাছাড়া এতে অ্যাডভেঞ্চারও হত। এভাবে ১৫০-র বেশি গাড়ি চুরি করেছে সে। পাল্টে ফেলত চুরি করা গাড়ির ইঞ্জিন আর চেসিস নম্বর।
কুণালের দুই সাগরেদ ইরশাদ আলি আর মহম্মদ সাদাবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার চুরি করা ১৫০-র বেশি গাড়ির মধ্যে ১২টিকে উদ্ধার করা গিয়েছে।