চণ্ডীগড়: টানা তৃতীয় দিন ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়ল পঞ্জাব ও হরিয়ানা। ফলে বিপর্যস্ত জনজীবন। দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম থাকায় ২৬টি উড়ান বাতিল করতে হয়। যাঁরা রাস্তায় গাড়ি বা মোটর সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন, তাঁরা হেডলাইট জ্বালাতে বাধ্য হন। বলদেব চন্দ নামে চণ্ডীগড়ের এক প্রবীণ বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘আমি এর আগে কোনওদিন এই পরিস্থিতি দেখিনি। গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে পঞ্জাব ও হরিয়ানার বিভিন্ন অংশে ফসল পোড়ানোর ফলে যে বায়ুদূষণ হয়, তখনও পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়নি।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গতকাল রাতে বাইরে যে গাড়িগুলি রাখা ছিল, আজ সকালে সেই গাড়িগুলির উপরে ধুলোর পুরু আস্তরণ দেখা যায়। আবহাওয়া দফতর অবশ্য আশার কথা শুনিয়েছে। চণ্ডীগড়ের আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর সুরিন্দর পাল জানিয়েছেন, ‘আগামীকাল থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া উচিত। এই অঞ্চলে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে। তার ফলে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে ধুলো দূর হবে।’

হরিয়ানার পরিবেশমন্ত্রী বিপুল গোয়েল জানিয়েছেন, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড দূষণমাত্রা পরিমাপ করছে। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন অঞ্চলের আওতায় থাকা জেলাগুলিতে আগামী দু’দিন কোনও নির্মাণকার্য চালানো যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বয়স্ক ও শিশুদের যাতে শ্বাসকষ্ট না হয়, তার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।