নয়াদিল্লি: রাজধানীর বুকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) পর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও ধাক্কা খেল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ(এবিভিপি)। জেএনইউয়ে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি অনুগামী এবিভিপি ধরাশায়ী হয়েছে বাম ছাত্রজোটের কাছে।


কয়েকদিনের ব্যবধানে আরএসএসের মদতপুষ্ট ছাত্র সংগঠনকে হারিয়ে কয়েক বছর বাদে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন (ডিইউএসইউ) পুনর্দখল করল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই। সভাপতি ও সহ সভাপতি, দুটি শীর্ষ পদেই জয়ী এনএসইউআই প্রার্থীরা।

এবার ভোট পড়েছে ৪৩ শতাংশ।



শুধুমাত্র সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক পদ ধরে রাখতে পেরেছে এবিভিপি। সভাপতি পদে এবিভিপি-র রজত চৌধুরি, বাম ছাত্র সংগঠন এআইএসএ-র পারুল চৌহা, দুই নির্দল প্রার্থী রাজা চৌধুরি ও অলকাকে পিছনে ফেলে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের প্রার্থী রকি তুসিদ। রকি ১৫৯০ ভোটে জিতেছেন। সহ সভাপতি পদে এবিভিপি প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে জিতেছেন এনএসইউআইয়ের কুনাল শেরাওয়াত।

সম্পাদক পদে এবিভিপি-র বিজয়ী প্রার্থী মহামেধা নাগর ২৬২৪ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন এনএসইউআইয়ের মীনাক্ষী মিনাকে। যুগ্ম সম্পাদক পদে এবিভিপি-র উমা শঙ্কর মাত্র ৩৪২ ভোটে পরাস্ত করেছেন এনএসইউআইয়ের অবিনাশ যাদবকে।

গত বছর সঙ্ঘ পরিবার পরিচালিত এবিভিপি-র দখলে যায় তিনটি প্রধান পদ, তবে যুগ্ম সম্পাদক পদে জিতে প্রত্যাবর্তনের প্রথম ধাপে পা রাখে এনএসইউআই।

বিদায়ী ইউনিয়নে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন এবিভিপির অমিত তানোয়ার। ২০১৪য় এই পদে জেতেন মোহিত নাগর। সেই থেকে সভাপতি পদটি তাদের কব্জাতেই ছিল।




দলের ছাত্র সংগঠনের সাফল্য়ের খবর শুনে আমেরিকা সফরে থাকা রাহুল গাঁধী ট্যুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কংগ্রেসের মতাদর্শে আস্থা রাখায় ধন্যবাদ দিয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদেরও।

সম্প্রতি নানা রাজ্যে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র ইউনিয়নের ভোটে কংগ্রেসের ছাত্র শাখার ভাল ফলের নজির খুব বেশি নেই। এই সেদিন জেএনইউয়ের ভোটেও শোচনীয় ফল করেছে তারা। সেই প্রেক্ষাপটে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলকে দারুণ ঘুরে দাঁড়ানো বলেছেন এনএসইউআই নেতৃত্ব।




কংগ্রেস মূখপাত্র রনদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা