নয়াদিল্লি: 'সঠিক সময় ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম', জানালেন  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এর রিজিওনাল ডিরেক্টর ডঃ পুনম ক্ষেত্রপাল সিংহ।


করোনার কবলে বিশ্বের প্রায় প্রত্যেক দেশ। চিনের পর মারণ ভাইরাসের থাবায় পর্যুদস্ত ইতালি, আমেরিকা। অন্যান্য দেশেও কমবেশি প্রভাব ছড়িয়েছে কোভিড ১৯। তবে তুলনামূলকভাবে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা কম। এজন্য ভারতের সঠিক সময়ে লকডাউন ঘোষণা করাকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন পুনম ক্ষেত্রপাল সিংহ।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পুনম বলেন, ‘ভারতে খুব সামান্য সংখ্যক আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসতেই লকডাউন করা হয়েছে। এটা ভীষণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত। কারণ এতে করে ভারতীয়রা বুঝে গিয়েছে এই প্রবল পরাক্রমশালী শত্রুকে নির্মূল কীভাবে করতে হবে। এতে গোষ্ঠী সংক্রমণ প্রতিহত করাও সম্ভব হয়েছে কিছুটা। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতির সময় পাওয়া গেছে।’ এ ব্যাপারে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও আমেরিকার চেয়ে ভারতকে এগিয়েই রেখেছেন তিনি।

লকডাউন সম্পর্কে  রিজিওনাল ডিরেক্টর বলেন, 'ধীরে ধীরে লকডাউন তোলা উচিত। আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও ধাপে ধাপে লকডাউন তোলাই উচিত সিদ্ধান্ত। তবে বজায় রাখতে হবে ক্রমাগত টেস্ট, আইসোলেশন। চালু রাখতে হবে মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচারও।'

করোনার পরীক্ষার ফলাফল যাতে তাড়াতাড়ি আসে ও কিটের যথাযথ সংরক্ষণের দিকে নজর দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, প্রচুর পরিমাণে নমুনা আসার ফলে সঠিকভাবে টেস্ট করে বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। প্রশ্নের মুখে পড়ছে ল্যাবরেটারি সংরক্ষণও। তাড়াতাড়ি টেস্টের জন্য পুল টেস্টিং পদ্ধতির কথাও বলেন তিনি।

শোনা গিয়েছিল, বেশি তাপমাত্রায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে করোনা ভাইরাস। তবে এই নিয়ে আশার আলো দেখাতে পারেননি পুনম ক্ষেত্রপাল সিংহ। তিনি জানান, বেশি তাপমাত্রায় ভাইরাসের কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার এখনও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।