অযোধ্যা: আলোয় ভাসল রামনগরী অযোধ্যা। দীপোৎসবের জন্য অযোধ্যাকে সাজানো হয়েছে কনের সাজে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল দীপ জ্বালিয়ে দীপোৎসব অনুষ্ঠানে সূচনা করেন। অযোধ্যায় দীপোৎসবে মুখ্যমন্ত্রী রাম কি পৌড়ি-তে আরতি করেন এবং সেখানে দীপ প্রজ্জ্বলিত করেন।



সাড়ম্বরে অযোধ্যায় দীপাবলি পালন করা হচ্ছে। সরযু নদীর তীর সহ পুরো অযোধ্যাতেই জ্বলে উঠেছে লক্ষ লক্ষ দীপ। সেই সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোকসজ্জাও মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। দীপের মালায় সাজানো অযোধ্যা হয়ে উঠেথে মনোমুগ্ধকর। রাম মন্দিরের শিলান্যাস হওয়ার পর অযোধ্যায় বিশেষভাবে দীপাবলি পালন করা হচ্ছে। রাম কী পৌড়িতে উপচে পড়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষ দিয়ার রোশনাই।



শহরের সমস্ত মন্দির ও বাড়ির বাইরে প্রজ্জ্বলিত হয়েছে দীপ। পুরো শহরই যেন আলোকের ঝর্ণাধারায় অবগাহন করেছে।



দীপোৎসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আদিত্যনাথ বলেছেন, ২০২০-র এই উৎসব এমন সময় হচ্ছে, যখন সারা বিশ্ব করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই বছর সকলের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতও করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। রাজ্যবাসী ও পুণ্যার্থীদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেরণা, পথপ্রদর্শন ও রণকৌশলে পাঁচ শতাব্দীর সংকল্প পূর্ণ হয়েছে। আর তা প্রত্যক্ষ করছে সারা দেশ ও বিশ্ব।

আদিত্যনাথ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেরণাতে পাঁচ শতাব্দীর পর রাম মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত হয়েছে। বিগত বহু প্রজন্ম ধরেই সবার মনে একটি সুরম্য রাম মন্দির নির্মাণের কাজ নিজের চোখে দেখে জন্ম ও জীবন ধন্য করার বাসনা ছিল। আর সেই প্রতীক্ষার অবসান প্রধানমন্ত্রীর জন্যই হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, করোনার ঝুঁকি না থাকলে অনুষ্ঠান আরও বড় হত। তিনি বলেছেন, সমগ্র রামায়ণ সার্কিটের পরিকল্পনা করে বিশ্বস্তরে তাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এ বছর ৫.৫১ লক্ষ দীপ জ্বলেছে। আগামী বছর এই সংখ্যা বেড়ে হবে ৭.৫১ লক্ষ।